২৮ বলেই শেষ বাংলাদেশের প্রতিরোধ

উইকেটে স্বীকৃত ব্যাটসম্যান নেই। তবে তাইজুল ইসলাম আর অভিষিক্ত নাঈম হাসান আগের দিন শেষ বিকেলে যেমন ব্যাটিং করেছেন, তাতে তাদেরকেই স্বীকৃত ব্যাটসম্যান মনে হচ্ছিল। দ্বিতীয় দিনে তাদের উপর ছিল অনেক আশা।

সেই আশা সেভাবে পূরণ করতে পারেনি এই জুটি। ৮ উইকেটে ৩১৫ রান নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে গেছে ৩২৪ রানে, আগের দিনের সঙ্গে মাত্র ৯ রান যোগ করেই।

সকালের সেশনটা যে কোনো ব্যাটসম্যানের জন্যই কঠিন এক পরীক্ষা। তবু প্রথম আধা ঘন্টা বলতে গেলে পার করে দিয়েছিলেন তাইজুল আর নাঈম। অবশেষে এই জুটিটা ভাঙেন জোমেল ওয়ারিকেন। প্রথম স্লিপে শাই হোপের ক্যাচ হয়ে ফিরেন নাঈম। ৭৪ বলে ২ বাউন্ডারিতে গড়া তার ইনিংসটি ছিল ২৬ রানের।

নাঈম ফেরার পর উইকেটে আসেন মোস্তাফিজুর রহমান। পরের বলেই তার বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউয়ের আবেদন হয়। যেহেতু শেষ উইকেট, রিভিউ নিয়ে নেন মোস্তাফিজ। রিভিউটা জিতেও যান।

পরের বলটা ডিফেন্স করতে পারলেও ওভারের চতুর্থ বলে আবারও বিপদ মোস্তাফিজের। পায়ে বল লাগার পর এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আবারও আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার, এবারও রিভিউ। তবে শেষ রক্ষা হয়নি মোস্তাফিজের। রিভিউয়ে দেখা যায় পরিষ্কার এলবিডব্লিউ হয়েছেন তিনি, রানের খাতা খোলার আগেই।

অপরপ্রান্তে দাঁড়িয়ে তাইজুলের এমন দৃশ্য দেখা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরির খুব কাছে চলে আসা এই ব্যাটসম্যান অপরাজিত থেকে যান ৩৯ রানেই। ৬৮ বলের ইনিংসটিতে ৪টি চার আর ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি।

এর আগে মুমিনুল হকের ১২০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসে ভর করে একটা সময় ৩ উইকেটে ২২২ রান তুলে ফেলেছিল বাংলাদেশ। শেনন গ্যাব্রিয়েলের বিধ্বংসী এক স্পেলে সেখান থেকে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে টাইগাদের ইনিংস।