মেয়র আনিসুল হককে বাবার শেষ আদর

যার কাঁধে চড়ে শেষযাত্রায় যাওয়ার কথা বাবার; সেই তাকেই শেষশ্রদ্ধা জানালেন শরিফুল হক। যেন বাবার কাঁধে সন্তানের মরদেহ- পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজটিই তাকে করতে হলো শনিবার। বয়সের ভারে ন্যূব্জ শরিফুল হক আক্ষরিক অর্থে কাঁধে না নিলেও সন্তানের মৃত্যুর বোঝাটা ঠিকই তাকে ভেঙে দিয়েছে। তাইতো সন্তানকে শেষবারের মতো আদর করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন এই অশীতিপর।

অথচ শুক্রবার রাত পর্যন্ত শরিফুল হককে ছেলের মৃত্যুর খবর জানানোই হয়নি। শনিবার লন্ডন থেকে মরদেহ আনার পর ৯৫ বছর বয়সী বাবা শরিফুল হককে মেয়র আনিসুল হকের বনানীর ২৩ নম্বর রোডের বাসায় শনিবার বেলা তিনটার দিকে আইসিও অ্যাম্বুলেন্সে করে আনা হয়।

বয়সের কথা চিন্তা করেই ছেলের মৃত্যুর খবর রাতে জানানো হয়নি বলে আনিসুল হকের ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) মিজানুর রহমান পরিবর্তন ডটকমকে জানিয়েছেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসি) মেয়র আনিসুল হক লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে মারা যান। বেশ কয়েক মাস তিনি অসুস্থ ছিলেন।

শরিফুল হক তার ছোট ছেলে সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হকের বাসায় থাকেন। আনিসুল হক তার জীবদ্দশায় বরাবরই নিজের এগিয়ে যাওয়ার পেছনে বাবা শরিফুল হকের উৎসাহ আর মায়ের অনুপ্রেরণার কথা বলতেন।

এমনকি মেয়র নির্বাচন করার সময়ও বিভিন্ন সভায় সগৌরবে তার বাবার প্রসঙ্গ বক্তৃতায় তুলে আনতেন সদ্যপ্রয়াত এই মেয়র।