বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়লে প্রতি রাতে বোনের উপর চলত যৌন নির্যাতন। যাতে কেউ বিন্দুমাত্র টের না পায়, তার জন্য মুখ বেঁধে দেয়া হত তার। মেয়েটির চেহারায় অস্বাভাবিকত্ব নজরে আসার পরই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। তখনই প্রকাশ্যে আসে আসল ঘটনা। মেয়েটি তখন প্রায় ৩০ সপ্তাহের অন্তঃস্বত্ত্বা।

গত সোমবার একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় মেয়েটি। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মেয়েটি সুস্থ থাকলেও লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে সদ্যোজাতকে। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের পাটানর সারিয়াদ গ্রামে।

টাইমস অব ইন্ডিয়াকে নির্যাতিতার মা বলেন, আমরা ভেবেছিলাম মেয়ের টিউমার জাতীয় কিছু একটা হয়েছে। কিন্তু মেয়ে যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে তা ভাবতেও পারিনি।

পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা মেয়েটির ১৯ বছরের অভিযুক্ত ভাই। তার বিরুদ্ধে ৩৭৬ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মেয়েটির বয়স ১৭ বলে জানা গিয়েছে। যদিও, বিষয়টি নিয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

বয়স সঠিক ভাবে নির্ধারিত হওয়ার পর মামলা করা হবে। ইতিমধ্যেই মেয়েটির জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।