আরো ১ মাস বাড়লো বিধিনিষেধের মেয়াদ

আরো ১ মাস বাড়লো করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ।

১৬ জুন মধ্যরাত থেকে ১৫ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়ে বুধবার (১৬ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা ১৬ জুন মধ্যরাত থেকে ১৫ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।

একই সঙ্গে ছয়টি শর্ত দেয়া হয়েছে।

৬ শর্তে :

১. কোভিড-১৯ এর উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন জেলার জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) সংশ্লিষ্ট কারিগরি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে নিজ নিজ এলাকায় সংক্রমণ প্রতিরোধে বিধি মোতাবেক লকডাউনসহ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।

২. সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে খোলা থাকবে।

৩. সব পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে।

৪. জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান/ওয়ালিমা, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি), রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে।

৫. আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকানগুলো সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ (টেকওয়ে/অনলাইন) করতে পারবে এবং আসন সংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীতাকে সেবা দিতে পারবে।

৬. সব ধরনের গণপরিবহন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় চলতি বছর গত ৫ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে লকডাউন শুরু হয়। সেই শিথিল লকডাউন ছিল অনেকটাই অকার্যকর।

পরে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আটদিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। পরে সাত দফায় নানান শর্ত দিয়ে চলাচলে বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত ৬ জুন বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ১০ দিন বাড়িয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেই মেয়াদ শেষ হবে আজ বুধবার মধ্যরাতে। এবার বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ১ মাস বাড়ল।

এর আগে বন্ধ থাকলেও সর্বশেষ গত ২৩ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বিধিনিষেধ বাড়ানোর প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্তঃজেলা বাস, লঞ্চ এবং ট্রেনসহ সব ধরনের গণপরিবহন চলার অনুমতি দেয়া হয়। একই সঙ্গে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো আসন সংখ্যার অর্ধেক মানুষকে সেবা দেয়ার অনুমতি পায়। জেলার মধ্যে গণপরিবহন আগে থেকেই চালু ছিল।

এছাড়া লকডাউনে আগে থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা ছিল। খোলা ছিল শিল্প-কারখানা। এছাড়া জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো যথারীতি সীমিত পরিসরে চলছিল। সীমিত পরিসরে হচ্ছিল ব্যাংকের লেনদেন।