আ.লীগের সংলাপের সিদ্ধান্তে যা ভাবছেন বিশ্লেষকরা

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আর ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে বৃহস্পতিবার গণভবনে সংলাপ শুরু হবে। আর মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে সংলাপে অংশ নেয়ার জন্য ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের তালিকা আওয়ামী লীগের কাছে পাঠাবে ঐক্যফ্রন্ট। বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই পক্ষের শীর্ষ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ড. কামাল হোসেনের সংলাপে নেতৃত্ব দেয়ায় কার্যকর সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ও গতিশীল ভূমিকা রাখবে।

সব মহলকে অনেকটা চমকে দিয়ে সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানান, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল। যেখানে নেতৃত্বে দেবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সংলাপের সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক অঙ্গনের সুবাতাস হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। তারা মনে করেন, দুই পক্ষকে এক টেবিলে আনার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের কাছে ড. কামাল হোসেনের পাঠানো চিঠির ভাষাও ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে।

গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, চিঠিটা বিএনপির কাছ থেকে গেলে একরকম। আর ঐক্যফ্রন্টের কাছ থেকে গেলে অন্যরকম। আর চিঠির ভাষাটা এমন যা একে উপেক্ষা করাটা কঠিন।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দেশে সার্বিক পরিস্থিতি ও জনগণের স্বার্থকে বিবেচনায় রেখে আওয়ামী লীগ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’

দুই পক্ষেরই শীর্ষ নেতার অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত সংলাপ অধিক কার্যকর হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তবে উভয় পক্ষের ছাড় দেয়ার মনোভাবের ওপরই সংলাপের সফলতা নির্ভর করছে বলেও মত তাদের।

সংলাপের ফলাফলের ওপর ভবিষ্যত দিনগুলোতে রাজনীতির গতিপথ নির্ভর করছে বলেও মনে করেন বিশ্লেষকরা।