ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যের প্রতিবাদে আ’লীগ নেতার সংবাদ সম্মেলন

রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও দুর্গাপুর পুঠিয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারা কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন ও চলমান ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নৌকার মনোনয়ন বঞ্চিত মাড়িয়া ইউপি নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল লতিফ মৃধা।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার সময় উপজেলার হোজা গ্রামে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
এ সময় সাংবাদিকদের সামনে এ লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা আমার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন। আমি নাকি কখনো আওয়ামীলীগ করিনি। আমি ১৯৭৯ সালে দুর্গাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হই। এরশাদ বিরোধী আন্দোলন শুরু হলে ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার পতনের পূর্ব পর্যন্ত সকল আন্দোলন সংগ্রামে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছি। এ সময়ে অনেক মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছি থানায় নির্যাতিত হয়ে কারাবরণ করেছি। যার ফলে ধারাবাহিকতায় ১৯৯৫ সালে রাজশাহী জেলা যুবলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদকের পদ লাভ করি।
২০০৩ সালে দুর্গাপুর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি, ২০০৬ সালে উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের সভাপতি ও সর্বশেষ ২০১৪ সালে উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে আমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও আমি একজন শহীদ পরিবারের সন্তান। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে আমার দাদা সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হোন।
তিনি বলেন, দুঃখের বিষয় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে আমি নাকি কখনো আওয়ামীলীগ করিনি। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ ধারা আমি যেন মনোনয়ন না পাই সে জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন। অথচ তিনি দুর্গাপুর পুঠিয়ায় উৎকোচের বিনিময়ে জনসমর্থনহীন, যাদের জনপ্রিয়তা নেই এমন ব্যক্তিদের নাম কেন্দ্রে সুপারিশ করেছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সঠিক তদন্ত করলেই যার সত্যতা বেরিয়ে আসবে। যার প্রমাণ দুর্গাপুরে ইউপি নির্বাচনে প্রতিটি ইউনিয়নে আওয়ামলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। লিখিত বক্তব্যে আব্দুল লতিফ মৃধা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ মিথ্যা বক্তব্যে মনোনয়ন বানিজ্য ও অপরাজনৈতিক কর্মকাÐের জন্য শাস্তি দাবী করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি রোকনুজ্জামান ছাড়াও মাড়িয়া ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও দুর্গাপুর পুঠিয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিক বার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিপ করেননি।