রাজশাহীতে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার

রাজশাহীর পুঠিয়ায় পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে শ্রেণিকক্ষে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের (৪২) বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় মামলা করলে পুলিশ সোমবার রাতে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে।

পুঠিয়ার বেলপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর ভাই ও মামলার বাদী বলেন, দীর্ঘদিন থেকে তার বোনকে ওই শিক্ষক উত্ত্যক্ত করতেন। শিক্ষকের কথা মতো অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় তাকে ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। ঘটনার দিন অর্থাৎ সোমবার দুপুরের পর ইংরেজি বিষয়ে পড়ানোর কথা বলে বিদ্যালয়ের ফাঁকা একটি শ্রেণি কক্ষে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে তার বোন বিষয়টি বাড়িতে এসে জানায়। এরপর ওই শিক্ষকের নামে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ের একজন দশম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কাজ করেছে বলে শুনেছি। তবে সেটা বিদ্যালয়ে নাকি বাইরে ঘটেছে তা জানা নেই। এরপর উভয় পক্ষকে সোমবার বিকেলে বিদ্যালয়ে ডাকা হয়। কথা বলে, যদ্দুর বোঝা গেল তাতে ওই শিক্ষক অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা আকতার জাহানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বেলপুকুর থানার ওসি এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর ভাই সোমবার রাতে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তাৎক্ষণিক অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।

সোমবার রাতেই অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।