‘করোনায় ব্যবসা-বাণিজ্যে ধাক্কা লেগেছে, তবে সাহস হারাইনি’

চলমান করোনাভাইরাসের মহামারিতে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে ধাক্কা লেগেছে তবে আমরা সাহসের সঙ্গে এগিয়ে চলেছি বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

মঙ্গলবার (২১ জুলাই) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক্সপোর্ট কমপেটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) প্রকল্পের জন্য জমি লিজ নিতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) সঙ্গে এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জুম প্লাটফর্মের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিনের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বেজার নির্বাহী চেয়্যারম্যান পবন চৌধুরী, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম এনডিসি, ইসিফোরজে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ওবায়দুল আজম প্রমুখ।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এটা সবাই জানি। কিন্তু করোনার কারণে আমরা কিছুটা ধাক্কা খেয়েছি। তারপরও বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা অনেক সাহসী পদক্ষেপ নিয়েই এগিয়ে চলেছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সে লক্ষ্যে নিরলস পরিশ্রম করছেন।

তিনি বলেন, আজ যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো এটা শুধু একটি চুক্তি নয়। এর মাধ্যমে অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। রফতানি পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ হবে।

টিপু মুনশি বলেন, ‘২০১৮ সালে তিনটি সূচক অর্জন করতে পারায় আমরা উন্নয়নশীল দেশের তালিকার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা সামনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা আছে ২০৩১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হওয়ার জন্য অনেকগুলো কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। এসব কর্মসূচিরই একটা হচ্ছে ইসিফোরজে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যা রফতানি করি তার ৮৪ ভাগ তৈরি পোশাক। অন্যান্য কোনো পণ্যই আমরা বিলিয়ন ডলার রফতানি করতে পারি না। তবে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি আমাদের অন্যান্য অনেক পণ্য রফতানি করতে হবে। পণ্য বৈচিত্র্যকরণে জোর দিতে হবে। ইসিফোরজে প্রকল্প চামড়া, প্লাস্টিকসহ চারটি পণ্যের উন্নয়নে কাজ করবে। ফলে পণ্যে বৈচিত্র্যকরণ আসবে বলেও জানান তিনি।

প্রকল্প পরিচালক মো. ওবায়দুল আজম বলেন, ইসিফোরজে প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো রফতানি সম্ভাবনাময় খাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ফুটওয়্যার, প্লাস্টিক ও হালকা প্রোকৌশল খাতেকে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগী করে গড়ে তোলা। আশা করছি এ প্রকল্পের মাধ্যমে আগামীতে এসব পণ্যের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হবে।