কুড়িগ্রামে ভূমিদস্যুদের অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন

ভূমিদস্যুদের অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে কুড়িগ্রামে সংবাদ সম্মেলন করেছে চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের গয়নার পটল এলাকার পালিয়ে বেড়ানো ৬টি পরিবারের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম টেলিশিভন সংবাদিক ফোরামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সদস্য আবুল হোসেন, নওশাদ আলী, মর্জিনা বেগম ও সাজেদা বেগম।

তারা জানান, তাদের বাড়ি ভিটাসহ ৪ একর জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল পাশ^র্বতীর্ মোতালেব লাঠিয়াল গংদের সাথে। এরই জের ধরে চলতি বছরের গত ১৯ মে বিকেলে ভূমিদস্যুরা আবুল হোসেনের উপর হামলা চালায়। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিমাংসার উদ্যোগ নিলেও ব্যর্থ হওয়ায়র গত ২৭ মে চিলমারীর ঢুষমারা থানায় এজাহার দাখির করা হয়। কিন্তু পুলিশের কোন পদক্ষেপ না থাকায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভূমিদস্যুরা পুণরায় আবুল হোসেনসহ তাদের ৬ পরিবারের ভিটেমাটি দখলের উদ্দিশ্যে বাড়ি—ঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে পরিবারগুলোকে বিতারিত করে। তারপর থেকে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর প্রায় ৩০ জন সদস্য প্রাণ নাশের অশংকায় ঘরবাড়ি ছেড়ে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন অষ্টমীর চরে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন—যাপন করছেন।

এরপর উক্ত পরিবারগুলোকে চিরতরে বিতারিত করতে গত ৪ ডিসেম্বর রাতে ৬ পরিবারের বাড়ি—ঘরে লুটতারাজ ও ভাংচুরের পর অগ্নি সংযোগ করে ভূমিদস্যুরা। এ ঘটনায় আবারো ঢুষমারা থানায় অভিযোগ দিতে গেলে থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে আদালতে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেন। পরে তারা গত ৬ ডিসেম্বর বিজ্ঞ আমলী আদলতে মোতালেব লাঠিয়াল, শফিউর রহমান, তোতা মিয়া, হামেদ মন্ডলসহ ১৫ জনকে আসামী করে ৬ পরিবারের পক্ষ থেকে আবুল হোসেন বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আবুল হোসেন জানান, পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত জমিতে তারা দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিল। এ অবস্থায় পাশ^র্বতীর্ ভূমিদস্যুরা উক্ত জমি নিজেদের দাবি করে মামলা—হামলা চালিয়ে আসছে। এক পর্যায়ে তারা বাড়ি—ঘর থেকে বিতারিত করে দেয় এবং বাড়ি—ঘর নিশ্চিহ্ন করে দিতে অগ্নিসংযোগ করে। এ অবস্থায় নিজ বাড়িতে ফিরতে সরকারের সহযোগীতা কামনা করছেন তারা।