কুড়িগ্রামে ১ বছরে ৮ হাজার মামলা, আড়াই কোটি টাকা জরিমানা আদায়

সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ ব্যস্তবায়নে গত ১ বছরে কুড়িগ্রামে ৮ হাজার ৪৮০টি বিভিন্ন যানবাহনকে মামলা দেয়া হয়েছে। এ মামলাগুলোর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ৮ হাজার ৩৫০টি মামলা। আর এসব মামলায় জরিমানা আদায় করা হয়েছে প্রায় আড়াই কোটি টাকার মতো।

কুড়িগ্রাম ট্রাফিক অফিস সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম বলেছেন, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ ব্যস্তবায়নে আমরা কাজ করে চলেছি। মালিক শ্রমিক ইউনিয়ন, পেশাদার মোটরযান চালক স্কুল ও কলেজের ছাত্র ছাত্রীসহ পথচারী জনসাধারণদের নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আমরা সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করেছি।

হেলমেট বিহীন, ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন ও ফিটনেস বিহীন গাড়ি যেন সড়কে আর না চলে এ নিয়ে কাজ করছি আমরা। এ ছাড়া সড়ক দূর্ঘঘটনা থেকে মুক্তি চাইলে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। এ জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে সচেতনতাতা সৃষ্টিতে কাজ করা হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম ট্রাফিক পুলিশ অফিস সুত্র জানায়, গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত জেলায় ৮ হাজার ৪৮০টি বিভিন্ন যানবাহনের উপর মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় জরিমানা করা হয়েছে ২ কোটি একান্ন লাখ টাকা। এছাড়াও ৪৬৫ জন রেজিষ্ট্রেশন বিহীন গাড়ি চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ।

এসব গাড়ির চালকরা পুলিশের কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন করেছেন। যার ফলে প্রায় ৫১ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে। অপর দিকে সচেতনতা বাড়াতে জেলায় প্রায় ১০৫টি জনসচেতনতামূলক সভা করেছে ট্রাফিক বিভাগ।

সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার মঈনুদ্দিন মিয়াজি বলেন, আমি যেদিনই জেলা শহর যাই, প্রায় দেখি ধরলা ব্রিজ পশ্চিম পাড়ে সার্জেন্টরা বিভিন্ন গাড়ির কাগজপত্র চেক করছে। এটা অবশ্যই ভালো, যাদের গাড়ির কাগজপত্র নাই তারা তাদের সামনে যাবে না। তখন হবে কি চালকরা গাড়ির রেজিষ্ট্রেশনের পাশাপাশি ড্রাইভিং লাইসেন্স করবে। এবং বৈধভাবে সড়কে চলাচল করবে। সেক্ষেত্রে সড়ক দুর্ঘটনার আশংকা কমে যাবে।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ এমন তৎপর থাকলে, কমে আসবে সড়ক দুর্ঘটনা। পাশাপাশি সরকার রাজস্ব হারাবে না। যদি আবার পুলিশের সার্জেন্টরা ঘুষ নিয়ে চালকদের ছেড়ে দেয়, তাহলে তো দু পক্ষেই ক্ষতির সম্মুখীন হবে তাই না।

জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর বানিউল আনাম বলেন, কড়িগ্রামের সুযোগ্য পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশনায় আমরা সড়কে কাজ করে চলেছি। সড়কে যেন সকলেই সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ মেনে চলে তা নিয়ে আমরা কাজ করছি। এবং হেলমেট বিহীন, ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন ও ফিটনেস বিহীন গাড়ি যেন সড়কে চলতে না পারে বিষয়টি নিশ্চিত করছি।