কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে গাঁজার টাকা পরিশোধ করতে গরু চুরি

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে গাঁজার টাকা পরিশোধের জন্য, গরু চুরি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়েছে দুই গাঁজা ব্যবসায়ী।

স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের বানুরকুটি বাজার পাড়ার মৃত মহির উদ্দিনের পুত্র মোঃ ফারুক মিয়া(৩০) ও মানিক উদ্দিনের পুত্র রতন মিয়া (৩৫) এলাকার চিহ্নিত মাদক ব‍্যবসায়ী। তারা দীর্ঘদিন ধরে ভুরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ভোটহাট গ্রামের জনৈক আবুল কালামের মাধ্যমে ভারত থেকে গাঁজা এনে সোনাহাট স্থরবন্দর এলাকায় বিক্রি করে আসছে। ফারুক ও রতন গাঁজা সরবরাহকারী মহাজনের নিকট ৭ হাজার টাকা বাকী রাখার কারনে তাদের গাঁজা সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। পরে গাঁজার বাকি টাকা পরিশোধ করতে গত রবিবার (১৪ আগষ্ট) বিকেলে সোনাহাট হাই স্কুল মাঠে বেঁধে রাখা শাহিওয়াল জাতের একটি বকনা গরু তারা দুজন মিলে চুরি করে নিয়ে যায়। পরে অটোরিক্সা যোগে ভুরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের ভোটহাট নামক গ্রামের গাঁজা সরবরাহকারী মহাজন আবুল কালামের বাড়িতে নিয়ে গরুটি বিক্রি করে দেয়ার কথা বলে।

এসময় গরুর মালিক একই গ্রামের আব্দুস ছাত্তার গরু না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকলে প্রত্যক্ষদর্শীরা ফারুক ও রতনকে গরু নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। গরুর মালিক আব্দুস ছাত্তার এলাকার কয়েকজনকে নিয়ে তাদের দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা গরু চুরির কথা স্বীকার করে।

পরে এলাকাবাসীরা জনৈক জুয়েল মিয়া ও আনসার ভিডিপির সদস্য রমজান আলী নগদ ৭ হাজার টাকাসহ ধৃত দুই গরু চোরকে নিয়ে ভোটেরহাটের গাঁজা সরবরাহকারী মহাজন আবুল কালামের বাড়িতে গিয়ে টাকা দিয়ে গরু উদ্ধার করে নিয়ে আসে। বিষয়টি বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মায়নুল ইসলাম লিটনকে জানালে তিনি গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে আটক ২ গাঁজা ব্যবসায়ী ও উদ্ধারকৃত গরু ইউনিয়ন পরিষদের জিম্মায় নিয়ে ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

বঙ্গ সোনাহাট ইউপি চেয়ারম্যান মায়নুল ইসলাম লিটন জানান, আটক ২ গরু চোরকে জিজ্ঞাসাবাদে গরু চুরির কথা স্বীকার করে। পরে গরুর মালিককে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মালা করার প্রস্তুতি চলছিলো।