কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপরে, দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি কিছুটা কমলেও এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অপরিবর্তিত রয়েছে।

জেলার উলিপুর, চিলমারী, সদর, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার অববাহিকার প্রায় দুই শতাধিক চরাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পানিবন্দি জীবন-যাপন করছে। এতে করে হাতে কাজ না থাকায় খাদ্য সংকটে পড়েছে শ্রমজীবীরা।
বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্যের সংকট তীব্র হয়ে উঠছে। সরকারি ভাবে ত্রাণ বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিএম আবুল হোসেন জানান, আমার ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এরমধ্যে মাত্র ৫শ পরিবারকে বরাদ্দ পাওয়া ১০ কেজি করে বিতরণ করা হয়েছে। এখনও বাকী পরিবারগুলোকে সহায়তা দেয়া সম্ভব হয়নি।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, ২৮০ মেট্রিক টন চাল, সাড়ে ১২ লাখ টাকা ও ১৫শ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বেডের নির্বার্হী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানায়, ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।