খাগড়াছড়িতে বিজিবির অভিযানে অবৈধ মালামালসহ ৩ চোরাকারবারি আটক

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রামগড় উপজেলায় ৪৩ বিজিবির পৃথক অভিযানে ভারতীয় ঔষধ এবং দেশীয় বাংলা মদ, শাড়ি-থ্রিপিচসহ ৩ জন চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির রামগড় ব্যাটালিয়ন কর্তৃক পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ৮০০ কৌটা ভারতীয় ঔষধ ও ৩০ লিটার দেশীয় বাংলা মদসহ ২জন আসামীকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পরের দিন ১৩ লক্ষ টাকার ভারতীয় শাড়ি উদ্ধার ও এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে রামগড় থানার পুলিশ।

রোববার (২৮শে আগস্ট) ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামগড় থানার পুলিশের একটি বিশেষ দল খাগড়াছড়ি-রামগড় সড়কের নাকাপা বাজারস্থ বুদংছড়া নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে জাম্বুরা ভর্তি(বাতাবিলেবু) একটি পিকআপে ফেনী ড-১১-০৫০৪ তল্লাশি চালিয়ে বাতাবি লেবুর বস্তার নিচে লুকিয়ে রাখা ভারতীয় ১০বস্তা(২শত পিচ) শাড়ি ও ২শত পঞ্চাশ পিচ থ্রিপিচ উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত ভারতীয শাড়ির মূল্য আনুমানিক ১৩ লক্ষাধিক টাকা।গ্রেপ্তার হওয়া মো: ইব্রাহিম মিয়া(২৪) রামগড় উপজেলার পাতাছড়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে।

রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(তদন্ত) রাজিব কর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোর রাতে রামগড় থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করেন। এ বিষয়ে রামগড় থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আটককৃত মালামাল, পিকআপ ও আসামিকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

এদিকে শনিবার সকালে রামগড় ব্যাটালিয়নের আওতাধীন কয়লার মুখ চেকপোস্টের টহল দল ৩০লিটার চোলাই মদসহ মো: মইনুউদ্দিন দিদার ও মো: আজাদুল ইসলাম নামে দুই চোরাকারবারিকে আটক করে। আটককৃতদের জোরারগঞ্জ থানায় সোপর্দ করেছে বিজিবি। পরবর্তীতে জব্দকৃত মদ ধ্বংসের জন্য রামগড় সদর ব্যাটালিয়ন এ জমা করা হয়েছে। আর এসব মদের আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০হাজার টাকা।

আটককৃত মো: মইনুউদ্দিন দিদার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার চর হাজারীস্থ বসুরহাট গ্রামের মো: নুর ইসলাম ও মো: আজাদুল ইসলাম শ্যামবাগ থানার কাজির খিলস্থ দক্ষিণ রাজারামপুর গ্রামের মো: আব্দুল খালেক এর পুত্র বলে জানা যায়।

অপরদিকে বেলা ২টার দিকে রামগড় পৌরসভার মহামুনি বিওপির থানাঘাট এলাকায় বিজিবির টহল দল মালিকবিহীন ৮’শ কৌটা ভারতীয় ঔষধ জব্দ করেছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৪লাখ টাকা। জব্দকৃত ভারতীয় ঔষধ সীতাকুন্ড কাস্টমস এ জমার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে বিজিবি সূত্র।

৪৩বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো: হাফিজুর রহমান বলেন-‘সীমান্ত এলাকায় অবৈধ মাদক-চোরাচালান প্রতিরোধ ও অপরাধ কর্মকান্ড প্রতিহত করাসহ সীমান্ত সুরক্ষায় বিজিবির এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।