খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে ‘এক দেশ এক প্রাণ’ মূলমন্ত্রে সর্ববৃহৎ কনসার্ট অনুষ্ঠিত

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মহালছড়ি উপজেলাতে ‘এক দেশ এক প্রাণ’ মূলমন্ত্রে সর্ববৃহৎ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আসন্ন মহান স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে মহালছড়ি উপজেলার পাহাড়ি-বাঙ্গালীদের মাঝে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির ধারা অব্যাহত রাখার প্রত্যয়ে মহালছড়ি সেনা জোন ও উপজেলা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে ইতিহাসে সর্ববৃহৎ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার (৩রা মার্চ) এপিবিএন আইডিয়াল স্কুল এর মাঠে বিকেলে “শান্তি সম্প্রীতি উন্নয়ন” এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে বিভিন্ন আঞ্চলিক গান ও নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের সমৃদ্ধশীল সাংস্কৃতিকে তুলে ধরে এ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

কনসার্টে দেশের জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী হৃদয় খান, পায়েল ত্রিপুরা, জুলিপ্রভু মারমা, খাগড়াছড়ির অরণ্য ব্যান্ড এবং মহালছড়ি শিল্পকলা একাডেমির শিল্পী ও কলাকুশলীবৃন্দরা অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি ২৯৮নং আসনের সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান(প্রতিমন্ত্রী সমমযার্দা সম্পন্ন) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি সংরক্ষিত মহিলা আসন-৯ এর সংসদ সদস্য মিজ বাসন্তি চাকমা, রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ, এসজিপি, জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান, মহালছড়ি জোন কমান্ডার লে. কর্নেল শাহরিয়ার সাফকাত ভূইয়া, মহালছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, ১নং মহালছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রতন কুমার শীলসহ গণমান্য ব্যক্তিবর্গ।

মনোমুগ্ধকর এই পরিবেশনার মূল মন্ত্র ছিল “এক দেশ এক প্রাণ”। মহালছড়ির ইতিহাসে সর্ববৃহৎ এমন একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অংশ হতে পেরে মহালছড়ি এলাকাবাসী অত্যন্ত আনন্দিত ও বিমুগ্ধ।

কনসার্টে উপস্থিত দর্শকরা জানায়, এই প্রথম এত বড় একটি সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মহালছড়ি উপজেলায় উপভোগ করতে পেরে তারা অত্যন্ত আনন্দিত এবং সেনাবাহিনী ও উপজেলা পরিষদের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য উক্ত কনসার্টে আনুমানিক ১০হাজার দর্শকের উপস্থিত হয়েছিল বলে জানা যায়। অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিসহ ছাড়াও হাজার হাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
কনসার্টে বিভিন্ন আঞ্চলিক গান ও নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের সমৃদ্ধশীল সাংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়।