খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় উদ্ধারকৃত ৭টি তক্ষকসহ পাচারকারী ধৃত আসামী আটক

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলায় বনবিভাগ ও যৌথবাহিনীর অভিযানে ৭টি তক্ষকসহ এক পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার(২৪শে জুন) রাত ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনবিভাগ ও যৌথবাহিনীর অভিযানে পৌরসভার রসুলপুর গ্রামের ইসলাক মীরের বসতবাড়ি থেকে তার ছেলে মো: রুবেল( ৪২) এর কাছ থেকে ৭টি তক্ষকসহ তাকে আটক করা হয়েছে।

নিরাপত্তা বাহিনী সূত্র জানায়, সেনাবাহিনীর মাটিরাঙ্গা জোনের জোন এনসিও সার্জেন্ট মো: হানিফুর রহমান ও মাটিরাঙ্গা বনবিভাগের ফরেষ্টার মো: রোকনুজ্জামান, ও ফরেষ্টার মো: জাহাঙ্গীর আলম এর নেতৃত্বে বনবিভাগের ফরেষ্ট গার্ড বাগান মালিদের সাথে নিয়ে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার রসুলপুর গ্রামের ইসলাক মীরের বসত বাড়ির থেকে তার ছেলে মো: রুবেল এর কাছ থেকে ৭টি তক্ষক উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে মাটিরাঙ্গা বনবিভাগের ফরেষ্টার মো: রোকনুজ্জামান বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেজুতি জান্নাত এর আদালতে আসামীর বিরুদ্ধে বন আইনে পিওআর বন মামলা নং-১৯/মাটি আব ২০২১-২০২২ মামলা দায়ের করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। পরে বিজ্ঞ চীফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেজুতি জান্নাত আসামীকে অবৈধ ভাবে তক্ষক(বন্যপ্রানী) ধরা ও পাচারের অপচেষ্টা জনিত অপরাধে বন্যপ্রানী সংরক্ষন ও নিরাপওা আইন ২০১২এর ৩৪(খ) ধারা মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধের কারনে জেল হাজতে প্রেরন করেন।
এছাড়া জনসম্মুখে খাগড়াছড়ি চীফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেজুতি জান্নাত ও বনবিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে উদ্ধারকৃত তক্ষকগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে অবমুক্ত করা হয়েছে।

মাটিরাঙ্গা বনবিভাগের কর্মকর্তা জিএম আলমগীর হোসেন জানান, তক্ষক গিরগিটি প্রজাতির নির্বিষ নিরীহ বন্যপ্রাণী। সাধারণত পুরাতন বাড়ির ইটের দেয়াল, ফাঁক-ফোঁকর ও বয়স্ক গাছে এরা বসবাস করে। বর্তমানে তক্ষকের দাম ও তক্ষক দিয়ে তৈরি ওষুধ নিয়ে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হয়েছে। আর গুজবে বিশ্বাস করে এক শ্রেণির লোক রাতারাতি ধনী হবার স্বপ্নে তক্ষক শিকারে নেমেছে। এসব অসাধু ব্যক্তির জন্য দেশের জীববৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে। প্রাণিগুলো রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।