খাগড়াছড়ির সেনা রিজিয়নের মং সার্কেল প্রাক্তন রাজা বীর মুক্তিযোদ্ধা মংপ্রুসেইন শিক্ষাবৃত্তি প্রদান

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার “আমার আলোয় বিকশিত হোক আমার পৃথিবী” এই শ্লোগানে সেনাবাহিনী খাগড়াছড়ি রিজিয়নের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা মং সার্কেল সাবেক চিফ মংপ্রুসেইন শিক্ষাবৃত্তি ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার(৩০শে মার্চ) সকালে খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে’র অডিটোরিয়ামে এ বৃত্তি ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। শিক্ষাবৃত্তি ও সার্টিফিকেট প্রদানকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ মাহি।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেযারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, বিজিবির সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল মো: জাহাঙ্গীর হোসেন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান, মং সার্কেল চিফ সাচিংপ্রু চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো: নাইমুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য যতীন্ত্র লাল ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুল কলেজের ১০০জন মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ৫লাখ টাকার শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন সার্কেল প্রধানের মধ্যে একমাত্র খাগড়াছড়ি মং সার্কেলে চিফ মংপ্রæুসেইন-ই অস্ত্রভান্ডার ও রসদ সাহায্যে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সক্রিয় অবস্থান নিয়েছিলেন। দাঁড়িয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধা এবং শরণার্থীদের কাতারে।
তিনিই বাংলাদেশের তৎকালীন অস্থায়ী সরকারকে ১১০০ডলার দান করেছিলেন। যা ছিল দেশের প্রথম বৈদেশিক মুদ্রা সহায়তা। এছাড়াও তিনি রাজ পরিবারের ৩৩টি বন্দুক ও বেশ কয়েকটি দামি গাড়ি তুলে দিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে খাগড়াছড়ির মং সার্কেল চিফ মংপ্রুসেইনের বিরল অবদানকে স্বীকৃতি জানাতে ২০১৮সালে খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়ন উদ্যোগ নেয়। এরপর থেকে প্রতি বছর খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জনকারী কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ‘সার্কেল চিফ বীর মুক্তিযোদ্ধা মংপ্রুসেইন’ শিক্ষাবৃত্তি চালু করে আসছে।