খাগড়াছড়ি-মাইনী সেতু ধসে সারাদেশের সাথে বিচ্ছিন্ন সাজেক!

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালা উপজেলায় মাইনী সেতু ভেঙে পাথর বোঝাই একটি ট্রাক নদীতে পড়ে গেছে। এ ঘটনায় দীঘিনালা থেকে পর্যটনবাহি সাজেক ও বাঘাইছড়ি সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে কোন হতাহত হয়নি। বাংলার ভূ-স্বর্গ খ্যাত সাজেক ভ্যালিতে পথে পর্যটকসহ বাঘাইছড়ির সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

মঙ্গলবার(৭ই মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দীঘিনালা উপজেলার মাইনী সেতুতে এই ঘটনা ঘটে। এদিকে বিকল্প সেতু দিয়ে ছোট যানবাহন চলাচল করলেও দূরপাল্লার ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সীমান্ত সড়কের কাজের জন্য নিয়ে যাওয়া পাথর বহনকারী একটি ভারী ট্রাক বাঘাইছড়ি উপজেলার দিকে প্রবেশের সময় সেতুর ওপর উঠলে পাটাতন ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। এ সময় চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মাইনী বেইলি সেতু ধসে পড়েছে। মঙ্গলবার(৭ই মার্চ) সকাল সোয়া ১০টার দিকে পাথর বোঝাই একটি ট্রাক উঠে পড়লে বেইলি সেতুটি ধসে পড়ে। এতে হতাহত হবার কোনো ঘটনা হয়নি।

এদিকে, সেতুটি পরিদর্শন করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম শরনাথী বিষয়ক টাস্কফোর্স’র চেয়ারম্যান(প্রতিমন্ত্রী সমমর্যাদা সম্পন্ন) সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, জেলা প্রশাসক মো; সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো: নাইমুল হক ও সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কোরের কর্মকর্তারা।

দ্রুুত সময়ের মধ্যে ধসে পড়া বেইলি ব্রিজটি সচল করার আশ্বাস দিয়েছেন সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কোরের কর্মকর্তারা। একই সাথে বিকল্প ব্রিজ দিয়ে চলছে পর্যটকবাহী ছোট গাড়িগুলো।

দীঘিনালা ফায়ার স্টেশনের সাব-অফিসার পংকজ বড়ুয়া জানান, ওভারলোডের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা যান চলাচল স্বাভাবিক করতে কাজ করেছি।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরাফাতুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে দ্রুুততম সময়ের মধ্যে সেতুটি মেরামত করে যান চলাচলের জন্যে অনুরোধ করেছেন।

তিনি আরো জানান, বিকল্প হিসেবে সাজেক ফেরত পর্যটকদের গাড়িবহর থানা বাজারের ফুট ব্রিজ দিয়ে পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সবুজ চাকমা জানান, ধসে পড়া বেইলি সেতুটি দ্রুুত সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সড়ক ও জনপথ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ৩ দশক আগে অস্থায়ীভাবে নির্মিত মাইনি বেইলি সেতুটি। ২০১৭সালের ২৭শে অক্টোবর কাঠ বোঝাই ট্রাকসহ আরো একবার ধসে পড়েছিল। সে সময় সাজেক পর্যটন কেন্দ্রসহ রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ ৭দিন বন্ধ ছিল। এর ফলে রাঙামাটির সাজেক ও বাঘাইছড়ির সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।