খাগড়াছড়ি রামগড়ে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনা! ১৪৪ধারা জারি

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রামগড় উপজেলায় একই স্থানে একই সময় বিএনপি ও ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতা এড়াতে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১৪৪ধারা জারি করেছে রামগড় উপজেলা প্রশাসন। রোববার রাত সোয়া ১১টায় দিকে রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিকিউস্ট্রেট খোন্দকার মো: ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত সাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ ১৪৪ধারা জারি করা হয়।

জারিকৃত ১৪৪ধারা রামগড় পৌরসভার মাস্টার পাড়া(সিনেমা হল) হতে রামগড় পৌর ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এ সময় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোন ব্যক্তি, সংগঠন, রাজনৈতিক দল, গণজমায়েত, সভা-সমাবেশ, মিছিল, বিক্ষোভ মিছিল, শোভাযাত্রা, ৪জনের অধিক জমায়েত ও কোন প্রকার রাজনৈতিক প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলাসহ আইন মোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ কারা হবে বলে গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রামগড় উপজেলা বিএনপি কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি পালনের জন্য ২৯শে আগস্ট রামগড় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ সংলগ্ন স্মৃতিসৌধের সামনে সমাবেশ করার জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। অপর দিকে একই সময়, একই তারিখ ও একই স্থানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রামগড় উপজেলা শাখা শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে শোক র‍্যালি ও আলোচনা সভার জন্য আবেদন করেন। কোন দলকে অনুমতি দেওয়া না হলেও উভয় দল একই স্থানে বিনা অনুমতিতে সমাবেশ করার জন্য প্রস্তুুতি নিচ্ছে। এর ফলে জনগণের নিরাপত্তা বিঘিœত হতে পারে ও আইন-শৃক্সখলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে আইন পরিপন্থী সকল অবৈধ কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে উল্লেখিত স্থানে ১৮৯৮সালের ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ধারা জারি করা হলো।

জেলা ছাত্রলীগ আহাবায়ক অভীক ত্রিপুরা জানান, আগষ্ট মাস জুড়ে শোকাহত কর্মসূচী ছাত্রলীগের পুর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী ছিল।
এদিকে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএন আবছার ১৪৪ধারা জারি করার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির পক্ষে বহু আগে আবেদন করা হযেছে। কিন্তু আমাদের কর্মসূচি বানচাল করার জন্য একই স্থানে একই সময়ে সরকারি দলের একটি ছাত্র সংগঠন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপির পক্ষে জনস্রোত দেখে আওয়ামীলীগ এখন সন্ত্রাস ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। এভাবে আওয়ামীলীগ নিজেদের পতন ঠেকাতে পারবে না।’

বিএনপির নেতা এমএন আবছার অভিযোগ করে জানান, বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচাল করার জন্য রোববার সন্ধ্যার পর থেকে রামগড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর চালাচ্ছে আওয়ামীলীগ।

এবিষয়ে রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো: মিজানুর রহমান বলেন, সহিংসতা এড়াতে ও সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৪৪ধারা জারি করা এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।