খাগড়াছড়ি রামগড় স্থলবন্দর সেপ্টেম্বরে চালু হচ্ছে : নৌপরিবহন সচিব

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রামগড় উপজেলা স্থলবন্দর ও বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেছেন নৌপরিবহন সচিব মো: মোস্তফা কামাল।

সোমবার(২৯শে আগস্ট)সকাল ১১টায় রামগড় স্থলবন্দর ও বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীসেতু-১ পরিদর্শণ কালে অন্যানদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ সরওয়ার আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কার্বারী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোন্দকার মো: ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত, রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মিজানুর রহমান, প্যানেল মেয়র-২ আবুল বশর, কাউন্সিলর আহসান উল্লাহ, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থলবন্দর নির্মাণ কাজের প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বৃন্দ।

পরিদর্শণ শেষে সচিব জানান, আগামী সেপ্টেম্বরে চালু হচ্ছে রামগড় স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন কার্যক্রম। রামগড় স্থলবন্দরের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে, আশা রাখছি সেপ্টেম্ববের ১ম সপ্তাহে প্রাথমিক ভাবে ইমিগ্রেশন চালু করা হবে এবং স্থলবন্দরটি চালু হলে বাংলাদেশ ভারতের মানুষের মাঝে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি সহ দু’দেশেরই অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা, ব্যবসা-বানিজ্য,চিকিৎসা সচ্ছলতা বৃদ্ধি পাবে। ২৯শে আগস্ট সোমবার নির্মাণাধীন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল পরিদর্শন করতে এসে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মোস্তফা কামাল একথা বলেন।

রামগড় পৌরসভার মহামুনি এলাকায় রামগড় স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চালুর লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মানের প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের নির্মান কাজ চলতি মাসের গোড়ার দিকে শুরু হয়। ইতিমধ্যেই নির্মাণ কাজের ৯৫% পার্সেন্ট সমাপ্ত হয়েছে।
সোমবার নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব রামগড় পৌরভবনে সংক্ষিপ্ত বৈঠক শেষে নির্মানাধীন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি কাজের অগ্রগতি সহ অন্যান্য বিষয়ে খোঁজখবর নেন। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ইমিগ্রেশন চালুর জন্য প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল প্রস্তুুত করা হয়েছে।

এখন সংশ্লিষ্ট বিভাগ গুলো তাদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুুতি সম্পন্ন করলে, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু করা যাবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এই কার্যক্রম চালুর দিনক্ষণ ঠিক করা হবে।