গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে রাতের আঁধারে রাস্তার মূল্যবান সরকারি গাছ কাটার হিড়িক

‘জবাবদিহিতা এবং নজরদারি প্রায় শূন্য! সরকারি মে-মাল, দড়িয়া মে-ঢাল। কে-কার খবর রাখে। ম্যানেজ প্রক্রিয়ার দৌরাত্ম যেন থেমে নেই। অপ্রতিরোধ্য গতিতে চলছে যতসব অন্যায়-অনিয়ম-দূর্ণীতি’।

শ্রেণিবিন্যাসে কোথাও পুকুর-সাগরসম আবার কোথাও পাহারসম নানা কিসিমের দূর্ণীতি চলছে খরগোশ গতিতে। ক্ষেত্র বিশেষে কোথাও থেমে নেই অমানবিক দূর্ণীতির চালচিত্র। এরই ধারাবাহিকতায় এবার আর শুধু দায়সারা শুভঙ্করের দাপ্তরিক কাগজপত্র সর্বস্ব নিলাম প্রক্রিয়া নয়। রাতের আঁধারে পলাশবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রায় সর্বত্র কোথাও কতিপয় জনপ্রতিনিধির নীরব হস্তক্ষেপে চুরি, আবার কোথাও প্রায় প্রকাশ্য মদদে দেদারছে এসব গাছ সাবাড় করা হচ্ছে।

কোথাও চিহিৃত পেশাদার সংঘবদ্ধ আবার কোথাও অজ্ঞাত চোরচক্র বিভিন্ন জনপথের আনাচে-কানাচে একের পর এক সরকারি রাস্তার এ গাছ কেটে সাবাড় করছে। গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে রাতের আধারে প্রায়ই রাস্তার গাছ চুরি করে কাটার অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপাওে প্রশাসনের যথাযথ নজরদারির কোন উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এক্ষেত্রে তুলনামূলক পলাশবাড়ী-কাশিয়াবাড়ি সড়কের দু’ধারে পৌরসভা এলাকার মূল্যবান ইউক্লিপটাস গাছ সাবাড় হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।

সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে, পৌরশহরের পলাশবাড়ী কারিগরি কলেজ (আন্দুয়া) সংলগ্ন রাস্তার দক্ষিণপাশে মূল্যবান ১০/১৫টি একই রাস্তার ছামিউলের ছ’মিলের পশ্চিমপাশে ১টি, নুরপুর গ্রামে এমএ সামাদ কারিগরি কলেজ সংলগ্ন ১টি, শিমুলিয়া মোখলেছের বাড়ী দক্ষিণপাশের রাস্তায় ১টি এবং কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের বেংগুলিয়া বাবু’র ইটভার রাস্তায় ১টিসহ অসংখ্য ইউক্লিপটাস গাছ রাতের আধারে চুরি করে কাটা হয়।

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, এসব গাছের অধিকাংশ’ই পৌরশহরের পশ্চিম গোয়ালপাড়া গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ি জনৈক ব্যক্তি প্রধান হোতা।

সূত্র আরো জানায়, রাতের আঁধারে এ রাস্তার চিহিৃত পয়েন্ট সমূহে যখন যে স্থানে গাছ কাটা হয় তখন ওইস্থানে গাছ রোপনকৃত সমিতি সদস্যদের সাথে যোগসাজস করে এসব গাছ কাটা হয় বলে জানা যায়।