যশোরের শার্শায়

গেলেন বিরোধ মেটাতে, হলেন খুন

যশোরের শার্শায় মোক্তার আলী (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন। নিহত মোক্তার আলী শার্শার অগ্রভুলোট গ্রামের মৃত চাঁন্দালী সর্দারের ছেলে।

শার্শা থানার ওসি বদরুল আলম খান বলেন, ‘শনিবার বিকেলে স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে উপজেলার অগ্রভুলোট গ্রামের একটি আমবাগানের ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে।
তার শরীরের ঘাড় ও হাতে অসংখ্য ধারাল অস্ত্র দিয়া কোপানোর চিহ্ন রয়েছে।’

লাশ ময়না তদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি জানান।

জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধে তাকে খুন করা হতে পারে এমনটি ধারণা করছে পুলিশ।

এদিকে, প্রতিবেশীদের বিরোধ মেটাতে গিয়ে তিনি খুন হন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য তবিবুর রহমান জানান, ‘অগ্রভুলোট গ্রামের উত্তরপাড়ার মৃত মোমিন আলীর ছেলে আবু বক্করের সাথে হারুনের ছেলে মামুনের মধ্যে জমি লেখালেখি নিয়ে বিরোধ চলছিলো। মামুন ও আবু বক্কর সম্পর্কে মামা ভাগ্নে। আবু বক্কর তার পিতা মোমিন আলী মারা যাবার আগে তার কাছ থেকে নিজের নামে ৩ বিঘা জমি লিখে নেন। এঘটনায় মামুন সকালে তার মামা আবু বক্করকে মাঠে মারতে যায়। এনিয়ে শনিবার বিকালে আবু বক্কর প্রতিবেশী মোক্তার আলী সহ অন্যদের নিয়ে সেখানে বিরোধ মেটাতে গিয়েছিলেন। কথাবার্তা শোনা বোঝার একপর্যায়ে মামুন (২৪) তার হাতে থাকা বাগান কাটা দা দিয়ে মোক্তার আলীর গলায় ও পেটে কোপ দিলে ঘটনাস্থলেই মোক্তার আলী নিহত হন।’

প্রতক্ষদর্শীরা জানান, মামুন বাগান কাটা দা দিয়ে প্রথমে মোক্তারের গলায় কোপ দিলে গলা ঝুলে পড়ে। এরপর মোক্তারের পেটে আর একটি কোপ দিয়ে মামুন লোকজনের ভেতের দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উত্তম কুমার বিশ্বাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এখনো পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি।