ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সাতক্ষীরার উপকূলের নদ-নদী উত্তাল

সাতক্ষীরার উপকূলের নদ-নদী ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে। স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বেড়ে ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে উপক‚লের জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধের উপর আচড়ে পড়ছে। এতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে উপক‚লের মানুষ।

ইতোমধ্যে জেলার শ্যামনগরের গাবুরার নাপিতখালী, মুন্সীগঞ্জের সিংহড়তলী ও রমজানগরের বড়ভেটখালীতে বেড়িবাঁধ উপচে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর থেকে শাহিন বিল্লাহ জানান, উপক‚লীয় এলাকায় সকাল থেকেই ঝড়ো বাতাস বইছে। সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে আড়াই ফুট পানি বেড়েছে। উত্তাল হয়ে উঠেছে নদী।

স্থানীয় বিলাল হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মূল প্রভাব ভারতের পশ্চিম বঙ্গ ও ওড়িস্যায় পড়বে বলা হলেও সকাল থেকে উপক‚লীয় এলাকায় এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে।

তবে এতে কোনো সতর্কতা সংকেত না থাকায় উপক‚লীয় এলাকায় সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার বিষয়টি চোখে পড়েনি।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ও উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য শ্যামনগরের মুন্সীগঞ্জে একটি অস্থায়ী কন্টিনজেন্ট স্থাপন করেছে কোস্টগার্ড।
ইতোমধ্যে তাদের একাধিক টিম নীলডুমুর, গাবুরা, মুন্সীগঞ্জসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে অবস্থান নিয়েছে।

শ্যামনগরের গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান জিএম মাসুদুল আলম বলেন, গাবুরার নাপিতখালীতে বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। স্থানীয়রা এ ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে। তারপরও বেড়িবাঁধ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হলে কিছু করার থাকবে না।