চলনবিল এলাকায় তালের শাঁসে ভরে উঠেছে হাট-বাজার

বৃহত্তর চলনবিলাঞ্চলে তালের শাঁসে ভরে উঠেছে প্রতিটি হাট-বাজার। মধুমাসে আম, জাম, কাঁঠাল ও লিচু ছাড়াও আরেকটি ভিন্নধর্মী ফল তালের শাঁসের চাহিদা এলাকার সর্বত্র। স্থানীয় ভাষায় ‘তালকুর’ নামে পরিচিত এই সুস্বাদু ফল। বর্তমানে চলনবিল এলাকার হাট-বাজার থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন অলিগলিতে এই মৌসুমী ফল বিক্রির হিড়িক পড়েছে।
মৌসুমী ফল ব্যবসায়ীরা তালগাছ থেকে অপরিপক্ক তাল পাইকারী কিনে খুচরা বিক্রয় করেন। তবে নরম অবস্থায় তাল শাঁসের দাম অনেক বেশি। কিন্তু দিন যতই যেতে থাকে, এই তাল শাঁস ততই শক্ত হতে থাকে। তখন শাঁসের দাম কমতে থাকে এবং এক সময় তাল পরিপক্ক হয়ে গেলে আর এই শাঁস খাওয়া সম্ভব হয় না।
বজ্রপাত ঠেকাতে ব্যাপকহারে তালগাছের চারা রোপণ করায় চলতি বছরে চলনবিল এলাকায় তালের বাম্পার ফলন হয়েছে। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে এ তাল। বিভিন্ন এলাকার তালগাছগুলোতে এখন কচি তালে ভরে গেছে। মধুমাসের এই ফলকে কেউ বলে তালের শাঁস, কেউ বলে তালকুর, কেউ বলে তালের আঁটি।
তাল বিক্রেতা রাশিদুল ইসলাম জানান, তিনি প্রতি বছরই এ সময়ে তালের শাঁস বিক্রি করেন। বৈশাখ থেকে জৈষ্ঠ্যের অর্ধেক পর্যন্ত এ দেড় মাস চলবে তালের শাঁস বিক্রির কাজ। প্রতিদিন প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ কচি তাল বিক্রি করা যায়। একটি তাল আকার ভেদে ৭ থেকে ১০ টাকা দরে বিক্রি করছি। এতে তার প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা লাভ হয়।
সাবাজ নামে এক ক্রেতা জানান, তালের শাঁস একটি সুস্বাদু ফল। গরম থেকে এসে তালের শাঁস খেয়ে ভালই লাগে মনটা জুড়ে যায়। ফলে এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে।
তালের শাঁস ও পুষ্টি গুণ:
তালের শাঁসের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে এই প্রতিনিধির কথা হয় তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আলী আশরাফ এর সাথে তিনি বলেন, তালের শাঁস শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। গরমের দিনে তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ পানি শূণ্যতা দূর করে। এছাড়া ক্যালসিয়াম, ভিটামিনসহ নানা ধরনের ভিটামিন রয়েছে। তালে থাকা এন্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। কচি তালের শাঁস রক্ত শূণ্যতা দূর করে। চোখের দৃষ্টি শক্তি ও মুখের রুচি বাড়ায়।