চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে কুরআন হাফেজের হত্যকান্ডের ঘটনায় ৩ জন গ্রেফতার

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় লিফটের ফাঁকা গর্ত থেকে আবদুল্লাহ আল কাউছার নামে একজন কুরআনে হাফেজের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস।

সোমবার ২৪ এপ্রিল সকালে হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ মাষ্টার পাড়া এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের লিফটের ফাঁকা গর্ত থেকে ওই কোরআনে হাফেজ আব্দুল্লাহ আল কাউছার (১৭) এর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে ময়না তদন্ত শেষে তার নানার বাড়ি এনায়েতপুরে দাফন করা হয়। এদিকে লাশ উদ্ধারের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসাবে তিনজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ। গ্রেফতারকৃতদের মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। তারা হলেন, উপজেলার হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বাউড়া গ্রামের হেলাল উল্যাহ্র ছেলে ও পৌরসভাধীন ৬নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ গ্রামের মাস্টার পাড়ার মুদি দোকানদার ফয়েজুল্লাহ্ ফয়েজ (২৪), পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ড রান্ধুনীমূড়া গ্রামের মো. মহিউদ্দিনের ছেলে শাহ্ মোহাম্মদ সিফাত (১৮) ও ৬নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ গ্রামের মো. জাকির হোসেন মোহনের ছেলে মো. মুনতাসির মামুন নিরব (১৭)। এই ঘটনায় কাউছারের বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

কাউছার চাঁদপুর সদরের রামদাসদীর মোস্তফার ছেলে। তারা হাজীগঞ্জের মকিমাবাদে এ এলাকায় ৩ বছর ধরে ভাড়া থাকে। তিন ভাই বোনের মধ্যে সে দ্বিতীয়। বাবা পেশায় একজন অটোচালক।
রোববার রাতে লিফটের গর্তে প্রবাসী আজিজুর রহমানের ভবনের প্রহরী ছাবের আহাম্মদ ও তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম মৃতদেহ দেখতে পায়। ঘটনার দুই দিন আগে সে নিখোঁজ হয়।

প্রহরী ছাবের আহাম্মদ ও তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম জানান , নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ের মালামাল দেখার জন্য ২য় তলায় যান। মালামাল দেখে আসার সময় নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ের নিচ তলা লিফটের ফাঁকা গর্তে টর্চ লাইট মারলে লাশ দেখতে পায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও থানায় গিয়ে পুলিশকে অবহিত করেন তারা।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জোবায়ের সৈয়দ জানান, মৃতদেহের মুখের বাম পাশে ও মাথার বাম পাশে থেতলানো এবং মাথার পিছনের অংশে ফাটা জখম রয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে একটি হত্যা কান্ড বলে প্রতিয়মান হচ্ছে। পরিবারের তথ্য মতে কয়েকজনকে আটক করেছি। তার মধ্য তিন জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি।

হাজীগঞ্জ থানায় এ বিষয়ে প্রথমে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে তার বাবা বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।