চাঁদপুরে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

চাঁদপুরের হাইমচরে কৃষি ব্যাংকের চরভৈরবী শাখায় নামে-বেনামে কৃষকের ঋণ মঞ্জুর করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংক কর্মকর্তা রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।

শনিবার (১২ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কৃষি ব্যাংকের কুমিল্লা বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক মো. ফরিদ উদ্দিন। ফরিদ উদ্দিন বলেন, শুধু মামলাই নয় বরং রুহুল আমিনকে চরভৈরবী শাখায় তিন কার্যদিবসের মধ্যে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে গজরা বাজারে যোগদানের জন্য প্রশাসনিক আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, সরকারি অর্থ নয়ছয়, নৈতিকতাবিরোধী কাজসহ রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠে। পরে ওই তদন্তে ১২টি শস্য ঋণ বানোয়াট খতিয়ান সৃষ্টি করার তথ্য পাওয়া যায়। এতে জমির প্রকৃত মালিকের স্বাক্ষর না নিয়ে একই তপশিল ব্যবহার করে একাধিক ব্যাক্তিকে ঋণ দেওয়া, নদীভাঙন তপশিলে ঋণ দেওয়া, অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে ঋণ দেওয়া, তপশিলে ভুয়া দাগ খতিয়ান ব্যবহার করে ১২ লাখ ৮২ হাজার টাকার ঋণ অনিয়ম পাওয়া যায়।

এ ছাড়া হাইমচর শাখায় ২০১৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর পূর্বচরকৃষ্ণপুর গ্রামের আবু তাহের মুন্সীর নামে এক লাখ ২০ হাজার টাকা ঋণ নিলেও তা রুহুল আমিন নিজেই ভোগ করে এমন অভিযোগ ওঠে। পরে এই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়।

এ বিষয়ে কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট-২ এর উপমহাব্যবস্থাপক মো. আতিকুর রহমান বলেন, ‘অভিযুক্ত রুহুল আমিনকে সরকারি চাকরির বিধি মোতাবেক কেন অব্যাহতি প্রদান করা হবে না, এ মর্মে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে আত্মপক্ষের সমর্থন করে লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে। তিনি উপযুক্ত জবাব না দিলে বিভাগীয় মামলা একতরফা তার বিরুদ্ধে রায় দেবে বলে নোটিশে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

অনুসন্ধানে জানা যায়, রুহুল আমিন স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ায় নানা সময়েই এসব ঋণ নেওয়ায় তদবিরে লিপ্ত ছিলেন। আর তাই তার বদলির আদেশ ঠেকাতে সহযোগীরা উপর মহলে নানাভাবে তদবির চালিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে মুঠোফোনে রুহুল আমিন বলেন, ১৬ তারিখের আগে আমি কিছুই বলতে চাই না।