চুয়াডাঙ্গায় প্রবাসীর স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা

চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর উপজেলায় জেসমিন খাতুন ওরফে আয়না খাতুন (৩৮) নামে এক কুয়েত প্রবাসীর স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ২ টার দিকে সদর উপজেলার নতুন যাদবপুর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত আয়না খাতুন কুয়েত প্রবাসী হাবিবুর রহমান হাবিলের স্ত্রী।

নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ বছর আগে ঝিনাইদহ হরিনাকুন্ডু উপজেলার কেসমত গোড়াগাছা আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে আয়না খাতুনের সাথে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মৃত হাতেম মন্ডলের ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি ছেলে ও একটি মেয়েও হয়। তাদের মেয়ে তাসমিন খাতুন সদ্য বিবাহিত। ছেলে আজমির হোসেনের বয়স আট বছর। সে বাড়ির পাশের ফুফার বাড়িতে থাকে। গত ১৮ বছর আগে জীবিকার তাগিদে কুয়েতে যান হাবিল। সেই থেকে একই গ্রামের ওসমান মন্ডলের ছেলে মামুন মন্ডল আয়না খাতুনকে বিরক্ত করতো। মঙ্গলবার দিনগত রাত ২ টার দিকে খুন হন আয়না খাতুন। সেসময় বাড়ির প্রধান ফটক ও ঘরের মূল ফটক বন্ধ ছিল। তার চিৎকারে বাড়ির আশপাশের সবাই ছুটে আসেন। কিন্তু তার আগেই মারা যান আয়না খাতুন। পরে খবর দেয়া হয় পুলিশে।

খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে এসে মরদেহের পাশ থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহ দেখে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।

এ ঘটনায় রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনায় তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন- একই গ্রামের মৃত সোহরাব হোসেনের ছেলে হাসান আলী (২৮), মৃত বাহার লস্করের ছেলে আব্দুর রহমান (৫২) ও সমান মন্ডলের ছেলে মামুন মন্ডল (২৭)।

সরোজগঞ্জ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক নিখিল অধিকারী জানান, কারও একার পক্ষে এই ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয়। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েকজন মিলে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। সকাল ৯টার দিকে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ধর্ষণ হয়েছে কি না, তা ময়না তদন্তের পরই জানা যাবে।