ছাত্রলীগের সংঘর্ষে ঘরে থাকা বাবা-মেয়েসহ গুলিবিদ্ধ ৫

সিলেটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষে বাবা-মেয়েসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট নগরের আখালিয়া নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে মারুফ নামের এক ছাত্রলীগকর্মীর অবস্থা গুরুতর।

আহতরা হলেন- ছাত্রলীগের শহীদ নুর হোসেন ব্লকের নেতা রাজন গ্রুপের কর্মী ও সুরমা আবাসিক এলাকার আব্দুল মনিরের ছেলে মারুফ (১৮), তেলিহাওর ব্লকের ছাত্রলীগ নেতা সুজেল গ্রুপের কর্মী ও আখালিয়া নোয়াপাড়া এলাকার বশির আহমেদর ছেলে জুনেদ (১৯), পথচারী নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকার জয়নাল মিয়ার ছেলে রাকিব (১৮)।

এছাড়া ছাত্রলীগকর্মীদের ছোঁড়া গুলিতে ঘরের ভেতরে থাকাবস্থায় আখালিয়া নোয়াপড়া এলাকার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে আব্দুল মুনিম (৩৫) ও তার মেয়ে সামিয়া আক্তার মাইশা (১৬) আহত হয়েছেন। আহত মাইশা বর্ডারগার্ড পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী।

জানা গেছে, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সুজেল তালুকদার ও ছাত্রলীগের নুর হোসেন ব্লকের রাজন গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই জেরে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নোয়াপাড়া এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মুনিম আহমদের বাসার সামনে অবস্থান নেয়।

একপর্যায়ে দু’গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে দু’গ্রুপের কর্মী, পথচারী ও ঘরের ভেতরে থাকা বাবা-মেয়েসহ পাঁচজন আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।

আহতদের মধ্যে ছাত্রলীগের শহীদ নুর হোসেন ব্লকের নেতা রাজন গ্রুপের কর্মী ও সুরমা আবাসিক এলাকার আব্দুল মনিরের ছেলে মারুফের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জেদান আল মূসা জানান, বুধবার সন্ধ্যায় দুটি গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।