জাতিসংঘের কালো তালিকায় ১৪ ব্যক্তি

ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ও পরমাণু কর্মসূচি অব্যাহত রাখায় উত্তর কোরিয়ার ‌১৪ ব্যক্তি এবং চারটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জাতিসংঘ। শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস হয়। খবর রয়টার্স ও বিবিসির। নিষেধাজ্ঞার আওতায় বিদেশে উত্তর কোরিয়ার ‘গুপ্তচরবৃত্তি’ বিভাগের প্রধান চো ওয়ান ইউ রয়েছেন।
এ নিষেধাজ্ঞার ফলে ওই ১৪ ব্যক্তি বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না। আর চারটি প্রতিষ্ঠানের সম্পদ ফ্রিজ করে রাখা হবে।
কালো তালিকাভুক্ত অন্যদের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির জ্যেষ্ঠ সদস্য এবং সেনাবাহিনীর পাইওনগ্যাংগ কর্মসূচির প্রধান অর্থদাতাও রয়েছেন।
আর চারটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে, উত্তর কোরিয়ার স্ট্র্যাটেজিক রকেট ফোর্স, দ্য কোরিও ব্যাংক এবং আরো দুটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।

এর মধ্যে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনসহ দেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের সম্পৃক্ততা রয়েছে দ্য কোরিও ব্যাংকের। বিদেশে ব্যাংকটি ৩৮টি শাখার মাধ্যমে লেনদেন করে থাকে।
অবাক করার বিষয় নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের সবাই এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। এর আগে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে প্রায় পাঁচ সপ্তাহ ধরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটির পর জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত নিকি হ্যালি জানান, তার দেশ এখনো উত্তর কোরীয় ইস্যুতে শান্তিপূর্ণ ও কূটনৈতিক সমাধানে বিশ্বাসী।
একই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদ নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে আজ উত্তর কোরিয়াকে এই বার্তা দিল যে, ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা বন্ধ কর, নতুনা আরো একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে।’
পিয়ংইয়ং জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উপক্ষো করে তাদের পরমাণু কর্মসূটি এবং ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের দাবি, আত্মরক্ষা ও যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসন থেকে রক্ষা পেতেই তারা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে শায়েস্তা করার ঘোষণা দেন। এরই অংশ হিসেবে কোরীয় উপদ্বীপে দেশটি রণতরী পাঠায়। একই সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার মিত্র চীনের সঙ্গেও আলোচনা চালিয়ে যায়।
পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র ইস্যুতে ২০০৬ সালে প্রথম জাতিসংঘ উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।