জামালপুরের বকশীগঞ্জে আবুল কাশেম দুলা খুনে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি

জামালপুরের বকশীগঞ্জের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কৃষক আবুল কাশেম খুন হওয়ার ঘটনায় জড়িত খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন পরিবার সহ এলাকাবাসী।

বর্বরোচিত এই খুনের ঘটনায় পুরো এলাকা জুড়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রকাশ্যে দিবালোকে এমন জঘন্য খুনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। এই খুনের পর শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছে খুন হওয়া আবুল কাশেম দুলার পরিবার।

বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনার দিন মামলার প্রধান আসামী সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম লিচু সহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করলেও বাকি আসামীদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
খুন হওয়া আবুল কাশেম দুলার বৃদ্ধ বাবা আব্দুর রেজ্জাকও আসামীদের আক্রমণের শিকার হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

খুন হওয়া পরিবারের অভিযোগ, আলীরপাড়া গ্রামে অস্থীতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন। তারা এলাকায় অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে ফায়দা লুটার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন নির্মমভাবে খুন করা হয় আবুল কাশেম দুলাকে।

এলাকাবাসীর ধারণা এই জঘন্য খুনের বিচার না হলে আসামী ও অপরাধীরা ভবিষ্যতে আরও অপরাধের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়বে। এই খুনের সঙ্গে জড়িত যেই হোক না কেন অবিলম্বে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে কঠিন বিচারের মুখোমুখি করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার ও নিরীহ গ্রামবাসী।

তাই দ্রুত দুলা খুনের মামলার সকল আসামী ও জড়িতদের গ্রেপ্তার করার জোর দাবি এলাকাবাসীর।

উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে বগারচর ইউনিয়নের আলীরপাড়া গ্রামে মোটরসাইকেলের চাপায় ছাগল আহত হওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের (টেঁটা) দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আবুল কাশেম দুলা (৫০) নিহত হন।

দুলা খুনের ঘটনায় ওই দিনই আলীরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম লিচু ও তার ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বিপ্লব সহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। বকশীগঞ্জ থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, ২৮ এপ্রিল নিহতের ছোট ভাই রেজাউল করিম বাদী হয়ে সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম লিচুকে প্রধান আসামী করে ৪০ জনকে নামীয় ও অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামী করে থানায় একটি খুনের মামলা দায়ের করেন।

বকশীগঞ্জ থানার ওসি মো. সোহেল রানা জানান, দুলা খুনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।