‘ট্রাম্প আমার জীবন নষ্ট করছেন’

‘আমার সঙ্গে যা হচ্ছে, তা এ দেশে কখনো হয়নি। আমার জীবন নষ্ট করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।’ যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেত্রী ক্যাথি গ্রিফিন কথাগুলো এভাবেই বলছিলেন। সম্প্রতি ইন্টারনেটে ক্যাথির একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রক্তমাখা কাটা মাথা হাতে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। ওই ছবি প্রকাশের পর ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হন ক্যাথি।

স্থানীয় সময় শুক্রবার ক্যাথির আইনজীবী লিসা ব্লুম অভিযোগ করেন, ক্যাথির ওপর ট্রাম্প ও তাঁর পরিবার ক্ষমতা প্রদর্শন করছে। প্রেসিডেন্ট পরিবারের এমন আচরণের পর থেকেই নাকি ক্যাথিকে লাঞ্চিত করা হচ্ছে। এমনকি হত্যার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। এর আগে ট্রাম্পকে জড়িয়ে ওই ঘটনার পর পরই চাকরি হারান তিনি। বাতিল করা হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে করা চুক্তিও।

গত বুধবার সংবাদমাধ্যম সিএনএনের একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা পদ থেকে বরখাস্ত করা হয় ক্যাথিকে। তিনি ওই অনুষ্ঠানে ২০০৭ সাল থেকে কাজ করছিলেন। শুধু নারী হওয়ার কারণে তাঁর সঙ্গে এই আচরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ওই ছবি প্রকাশ করার পর পরই ক্ষমা চান জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে এক ভিডিও পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমি একজন কৌতুক অভিনেত্রী। আমি মাত্রা অতিক্রম করেছি। আমি বুঝতে পেরেছি, এটা জনগণের বিপক্ষে গেছে। এটা মজার ছিল না। আমি বুঝতে পেরেছি।’

এ ছাড়া ওই ছবির আলোকচিত্রী টেইলার শিল্ডসের কাছেও ক্ষমা চান ক্যাথি। তিনি বলেন, ‘আমি তোমার কাছ ক্ষমা চাই। আমি বাড়াবাড়ি করে ফেলেছিলাম। আমি ভুল করেছি।’

নিজের ওই ছবি দেখে ‘চমকে ওঠেন’ ট্রাম্পও। তিনি বলেন, ‘নিজেকে নিয়ে লজ্জিত হওয়া উচিত ক্যাথির।’

এ বিষয়ে ট্রাম্পপুত্র ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র এক টুইটার বার্তায় বলেন, ‘এটা ন্যক্কারজনক, কিন্তু আশ্চর্যের কিছু না।’

এ নিয়ে ক্ষেপেছেন নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনের মেয়ে চেলসি ক্লিনটনও। এই ছবিকে তিনি ‘জঘন্য ও ভুল’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘একজন প্রেসিডেন্টকে হত্যা করা নিয়ে মজা করা ঠিক নয়।’

এরপর আরো একটি সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষমা চান ক্যাথি। সেখানেও তাঁর ভুলের কথা স্বীকার করেন। তবে ট্রাম্পকে নিয়ে মজা করা ছাড়বেন না বলেও জানান নারী এই কৌতুক অভিনেত্রী।