ঢাকায় কর ন্যায্যতার দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে “কর ন্যায্যতার” দাবিতে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি কমরেড বদরুল আলমের সভাপতিত্বে জায়েদ ইকবাল খানের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রমিক নেতা আবুল হোসাইন, কেন্দ্রীয় নেতা, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির, এএএম ফয়েজ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন, শ্রমিক নেতা বাহারানে সুলতান বাহার,জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, শ্রমিক নেত্রী লাভলী ইয়াসমিন, সভাপতি, রেডিমেড গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন,আশা মণি,প্রচার সম্পাদক, বাংলাদেশ কিষাণী সভা, রেহেনা বেগম,সহ – সভাপতি, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন,শাহাবুদ্দিন মাতুব্বর , সভাপতি ও জাহাঙ্গীর হোসেন,সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর,বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন, কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজের ছাত্র নেতা মাসুদ পরাভেজ,দারুল নাজাদ ছিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসার ছাত্র নেতা কে এম মহিউদ্দিন হেলালী প্রমূখ।

সমাবেশে কমরেড বদরুল আলম বাংলাদেশের কর ব্যবস্থাকে ন্যয্যতার রূপ দেয়ার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, বিদ্যমান পশ্চাৎপদ কর ব্যবস্থাকে প্রগতিশীল কর ব্যবস্থায় উত্তরণ ঘটাতে গোটা কর ব্যবস্থাকে ঢালাওভাবে সাজাতে হবে। প্রগতিশীল কর ব্যবস্থা বলতে তিনি যাদের বেশী আয় তাদের উপর বেশি কর আর যাদের কম আয় তাদের উপর কম কর ধার্য্য করা বুঝিয়েছেন। অধিকন্ত তিনি সম্পদ কর আরোপ করে করের আওতা সম্প্রসারিত ও শক্তিশালী করার উপর গুরুত্ব আরোপ করের। তিনি মূল্য সংযোজন কর(মূসক)বা ভ্যাটকে বেইনসাফী আখ্যা দিয়ে বলেন, ভ্যাট সকলের উপর নির্বিচারে ও বিভিন্ন স্তরে আরোপ করা হয়েছে ফলে ধনিরা বিশেষ সুবিধা পাচ্ছে ও গরীবরা ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে। তিনি অন্যায্য ভ্যাট পদ্ধতির অবসান দাবী করেন। সমাবেশে উপস্থিত বক্তারা বলেন, অন্যায্য কর ব্যবস্থা জনজীবনে চরম দূর্গতি বয়ে এনেছে। জনগণ ক্রয়বিক্রয় ও সরবরাহ শেখলের প্রতিটি স্তরে কর প্রদান করে সর্বস্বান্ত হচ্ছে। এ অন্যায্য কর ব্যবস্থা সমাজে দারিদ্র্য ও ক্ষুধার পূনরউৎপাদন করছে। তারা নারী ও শিশুদের করের আওতা মুক্ত করার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানান।

নেতৃবৃন্দ জাতিসংঘকে সর্বজনীন কর ন্যয্যতা সনদ ঘোষণার উদাত্ত আহবান জানান।

নেতৃবৃন্দ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর কর ফাঁকি বন্ধ ও কর অবকাশ বাতিল করারও দাবী জানান। তারা আরো বলেন, বড় বড় কোম্পানি ও অতিধনীরা কর ফাঁকি দিয়েই ক্ষান্ত হয় নি তারা দেশের সম্পদ বিদেশে অবৈধভাবে পাচার করে গাড়ি বাড়ি গড়েছে। মালয়েশিয়ার এমএসএইচ(মাই সেকেন্ড হোম) ও কানাডার বেগম পাড়া এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। নেতৃবৃন্দ ট্যাক্স হেভেন বা ‘করস্বর্গ’ বলে কথিত দেশেগুলোর মাধ্যমে অর্থ পাচার বন্ধ করার দাবী জানান।

দাবী সমূহঃ
১) আয় বৈষম্য অবসান চাই।
২)ধনীর উপর কর আরোপ করো,গরীবের উপর নয়।
৩)সর্বজনীন ভ্যাট প্রথা বাতিল করো।
৪)প্রগতিশীল ভ্যাট প্রথা চালু করো।