ঢাবি প্রক্টরের কথায় বিশ্বাস নেই ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের

পাঁচ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থানরত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস নিয়ে এসেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টর ড. গোলাম রাব্বানী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০টি সিদ্ধান্ত জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের। তবে প্রক্টরের এই আশ্বাসে বিশ্বাস রাখতে পারছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে নীলক্ষেত মোড়ে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন প্রক্টর গোলাম রাব্বানী।

তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এগুলো বাস্তবায়ন হলে সমস্যাগুলো সমাধান হবে। তোমাদের প্রতিটি সমস্যা আমরা শুনবো, সেভাবে সমস্যাগুলোর সমাধান করবো।’

বিশ্ববিদ্যালয় পক্ষ থেকে নেওয়া ১০টি সিদ্ধান্ত হলো-

১. সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে, পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে সব বিষয়ের ফলাফল প্রকাশ করার ব্যাপারে ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

২. যে সব বিষয়ে অধিক হারে অকৃতকার্য হয়েছে সেসব বিষয়ে আবেদনক্রমে পুনঃমূল্যায়নের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৩. সাত কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে প্রশাসনিক ভবনে স্বতন্ত্র সেল গঠন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সাত কলেজের জন্য স্বতন্ত্র নতুন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

৪. অধিভুক্ত সাত কলেজের সেশনজট নিরসনকল্পে ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৫. একাডেমিক ক্যালেন্ডার তৈরি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

৬. ২০১৬ সালের চতুর্থ বর্ষ অনার্স পরীক্ষার ফলাফল (সিজিপি সমন্বয় করে) ইতোমধ্যেই প্রকাশ করা হয়েছে।

৭. ডিগ্রি প্রথম বর্ষ-২০১৭ পরীক্ষার রুটিন ইতোমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে।

৮. মাস্টার্স-২০১৬ অনলাইনে ফরম পূরণ শুরু ২৮ এপ্রিল এবং পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জুন।

৯. অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ-২০১৮ পরীক্ষা শুরু ১৯ মে।

১০. ২৮ এপ্রিল উপাচার্যের সভাপতিত্বে সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা সমাধান কল্পে করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রক্টর গোলম রাব্বানীর বক্তব্য শেষ হলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মানি না, মানি না, ভুয়া, ভুয়া বলে স্লোগান দেন। তখনই নীলক্ষেত মোড় ত্যাগ করেন ঢাবি প্রক্টর।