তিস্তা চুক্তি সই সময়ের ব্যাপার মাত্র : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভারতের সঙ্গে বহুল আলোচিত তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি সই হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সুগন্ধ্যায় ফরেইন সার্ভিস একাডেমিতে পানি কূটনীতি বিষয়ক এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি। এছাড়া গঙ্গার পানি চুক্তির নবায়নের সময় আসছে বলেও উল্লেখ করেন ড. মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিস্তা নিয়ে দুদেশের মধ্যে আলোচনা এমন চূড়ান্ত পর্যায়ে গেছে যে সই হবেই হবে। তারপরও একজনের কারণে এটা একটু দেরি হয়েছে।

উল্লেখ্য, এই চুক্তির বিষয়ে নয়াদিল্লি ও ঢাকা একমত থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে সেটি আটকে রয়েছে।

ড. এ কে মোমেন বলেন, বর্তমানে যে অবস্থা আছে সেটি চলমান থাকলে ভালো। আমি যখন ভারতে গিয়েছিলাম তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। এ সময় তারা বলেছেন তারা বাকি নদীগুলোর সমস্যার বিষয়েও নীতিগতভাবে সম্মত এবং এটি এই অববাহিকার উপকারের জন্য হবে।

নদীর পানি বণ্টন ইস্যুতে উভয় দেশের মানসিক অবস্থান একই রকম, তবে এখন কিছুটা দেন-দরবার চলছে বলে জানান ড. মোমেন।

গঙ্গার পানি চুক্তির নবায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, গঙ্গার পানি চুক্তি নবায়ন নিয়ে আবার আলোচনার সময় আসছে এবং এটি একটি ক্রিটিক্যাল টাইম।

সত্তরের দশকে বাংলাদেশে যখন সামরিক সরকার ছিল তখন গঙ্গা পানি চুক্তি নিয়ে বেশ সমস্যা হয় বলে মন্ত্রী জানান।

তিনি বলেন, তখন একটি সামরিক সরকার ছিল দেশে। আমার মনে হয় সেটি ১৯৭৭ সাল। তখন সেই সরকার ঠিক করলো তারা গঙ্গা পানি চুক্তি বিষয়টি জাতিসংঘে উত্থাপন করবে। সে সময় আমরা যারা শিক্ষকতা করতাম তারা বলেছিলাম এই বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘে গেলে এটি খুব ভালো কাজ করবে না। যখন বাংলাদেশ সরকার এটি জাতিসংঘে নিয়ে গেল, এটি একটি বিপর্যয়কর অবস্থার সৃষ্টি হলো।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের অনেক প্রভাব আছে, অনেক বন্ধু আছে। তারা ১৯৭৮ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘে কোনো অধিবেশন করতে দেয়নি। আমাদের গঙ্গার বিষয়টি জাতিসংঘে নিয়ে গিয়ে কোনো লাভ হয়নি বরং ক্ষতি হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আমরা বিষয়টি জাতিসংঘ থেকে প্রত্যাহার করি এবং দ্বিপক্ষীয়ভাবে বিষয়টি সমাধান করি।