দিনাজপুরে পুলিশ নিয়োগে পরীক্ষার্থী ও প্রতারকসহ মোট ১২ জন গ্রেফতার

দিনাজপুরে পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী , ভূয়া পরীক্ষার্থী ও প্রতারকচত্রের সদস্যসহ মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার কৃতরা হলেন- দিনাজপুর নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও,রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা।

এ সময় পুলিশ, বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনষ্টবল (টিআরসি) নিয়োগের ৬ টি প্রবেশপত্র,১০০ টাকা মূল্যমানের ৯ টি ননজুডিশিয়াল ফাঁকা ষ্ট্যাম্প,বিভিন্ন ব্যাংকের ৪টি ফাঁকা চেকের পাতা,প্রতারক চক্রের ব্যবহারীত একটি হাই এস গাড়ী ও নগদ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন-দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলারধর্মপুর কৈকুড়ি গ্রামেরফিরোজ আলীল ছেলে আব্দুল কুদ্দুস(৩৮),নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার বেড়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের চেলেমোঃ মিশকাতুল ইসলাম(২৩),ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার সালন্দার কচুবাড়ী গ্রামের মোঃ খলিলুর রহমানের ছেলে রোকনুজ্জামান(৩০),রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলারহেলেঞ্চার সালটির হাট গ্রামেরমোঃ নাজমুল হকের ছেলে মোঃ নাহিদ ইউসুফ(১৮) একই উপজেলার সালটি পাড়া গ্রামের বাটুল সরকারের ছেলে শাহরিয়ার সরকার (১৮),রংপুর সদর উপজেলা রহরিদাতপুর গ্রামের কারিমুল ইসলামের ছেলে মোঃ মিষ্টার রহমান(১৮),রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার মদবাই পাড়া গ্রামের মোঃ আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে মোঃ মোহাইমেনুল(১৮),রংপুর মিঠাপুকুর উপজেলার ফুলচৌকি গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে রাজা মিয়া (১৮), কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার মোঃ মোকছেদ আলীর ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান (১৮),ঠাকুরগাও জেলার সদর উপজেলার শিংপাড়া গ্রামের মোঃ সিরাজুল ইসলামের ছেলে পজিরুল ইসলাম(৪৩),জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত সাইদুর রহমানের ছেলে সাইফুল রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম রিপন(৩৫) ওএকই গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর ছেলে মোঃ মহসীন আলম(৩৫)।

বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী দুপুরে দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় মিলনায়তনে প্রেস ব্রিফিং এ এ তথ্য তুলে ধরেণ পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ লিখিত বক্তব্যে জানান,দিনাজপুরে বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনষ্টবল (টিআরসি) নিয়োগের জন্য গত ১১ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারী তিন দিন যাচাই বাছাই কার্যক্রম অনুষিষ্ঠত হয়। যারা এই যাচাই বাছাই উর্ত্তীণ হন তাদের লিখিত পরীক্ষা ১৮ ফেব্রæয়ারী অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষায় প্রবেশের সময় শহীদুল ইসলাম নামে এক পরীক্ষার্থীকে সন্দেহ হলে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় সে জানায় তার প্রকৃত নাম মোঃ তারেক রহমান। তিনি ভূয়া পরীক্ষার্থী।পরে ভূয়া পরীক্ষার্থী তারেক রহমানকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে প্রকৃত পরীক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম, প্রতারক চক্রের পজিরুল ও মোঃ মহসীনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে গত ১৯ ফেব্রæয়ারী কোটের চালান দেয়া হয়।

এরআগে গত ৩০ জানুয়ারী নাঈম উদ্দিন নামে এক পরীক্ষার্থীকে প্রতারনা করার সময় দিনাজপুর শহরের একটি আবাসীক হোটেল থেকে প্রতারক চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করে ৮ টি ব্যাংকের ফাঁকা চেক ও ষ্ট্যাম্পসহ গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে ৩১ জানুয়ারী মামলা দিয়ে কোটে চালান দেয়া হয়।

দুটি মামলার আসামীদের দেয়া তথ্যের ভিক্তিতে অভিযান চালিয়ে মামলার অন্যান্য এজাহার নামীয় আসামীদের গ্রেফতারে ডিবি পুলিশ অভিযান শুরু করে। পরে রংপুর, নীলফামারীর সৈয়দপুর, ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন আবাসীক হোটেলে অভিযান চালিয়ে আরও ৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে এদের মধ্যে ৬ জন পরীক্ষার্থী, ১জন ভূয়া পরীক্ষার্থী ও ৫ জন দালাল চক্রের সদস্য। এর আগে ৫ জনকে গ্রেফতার করে কোটে চালান দেয়া হয়েছে।৬ জন পরীক্ষার্থী, ১জন ভূয়া পরীক্ষার্থী ও ৫ জন দালাল চক্রের সদস্য। এর আগে ৫ জনকে গ্রেফতার করে কোটে চালান দেয়া হয়েছে।

৬ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১জন কুড়িগ্রামের ও ৫ জন রংপুর জেলার এবং প্রতারক চক্রের প্রধান পজিরুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও জেলার বলে জানিয়েছে পুশিল। তাদের সবাইকে কোর্টে চালান দেয়া হয়েছে।