দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর কলারোয়ার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বদলি, ঠেকাতে সহযোগিদের বিক্ষোভ!

বদলি ঠেকাতে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার অপকর্মের সহযোগিরা রবিবার এক বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃত্ব ও বক্তব্য প্রদান করেন কলারোয়া প্রাণী সম্পদ দপ্তরের এনএটিপি প্রকল্পের কয়লা ইউনিয়নের সিল কর্মী আশেক ই-রাসূল সুমন, কাকডাঙ্গা গাভী পালন সিআইজি সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম, উলুডাঙ্গা ছাগল পালন সিআইজি সমিতির সভাপতি সেলিম হোসেন, লাঙ্গলঝাড়া গাভী পালন সিআইজি সমিতির সভাপতি রুহুল কুদ্দুস ও সেলিম।

বক্তারা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা অমল কুমারকে নির্দোষ দাবী করে বলেন, সংবাদ প্রকাশের কারণে কলারোয়ার এককোটি টাকার প্রজেক্ট আটকে গেছে। এজন্য প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার বদলি বাতিলের দাবী জানান।

সম্প্রতি কলারোয়া প্রাণী সম্পদ অফিসার অমল কুমারের দূর্ণীতির উপর কয়েকটি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরে গত ১৬/০৬/২২ তাং ৩৩.০০.০০০.১১৭.১৯.০০৩.১২-২৯৫ স্মারকে তাকে বদলি করা হয়। আদেশে বলা হয়েছে, নতুন কর্মস্থলে যোগদান না করলে ২৬ জুন তাকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত বলে গণ্য হবে।

বদলির আদেশ পেয়ে দূর্ণীতি ধামাচাপা দিতে তৎপর হয়ে উঠেছেন সংশ্লিষ্টরা।

উল্লেখ্য: সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলায় এনএটিপি প্রকল্প ফেজ-২ এর আওতায় এগ্রিকালচার ইনোভেশান ফান্ড এর ম্যাচিং গ্রান্ট উপ-প্রকল্পের ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারীদের খামার যাত্রীকরনে চপার মেশিন (খড় কাটা মেশিন) ও ক্রসার মেশিন ক্রয়ে এবং বিতরণে নানা অনয়িমের অভিযোগ আছে।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ১ জুন বুধবার কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুলী বিশ্বাস প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপজেলায় ৬টি সিআইজি সমিতির মাঝে ১২০ টি চপার মেশিন ও ৬টি ক্রসার মেশিন বিতরণ করার কথা থাকলেও কৌশলে তাঁকে দিয়ে বিতরণ করেন ৬ টি মেশিন। কিন্তু সরেজমিনে গত ১২জুন গয়ড়া গাভী পালন সিআইজির সদস্য আবু সালামের স্ত্রী ফরিদা খাতুন, আসাদুল ইসলামের স্ত্রী ঝর্না খাতুন, আবু তাহেরের স্ত্রী আর্জিনা খাতুন বলেন, আমরা ৯ হাজার করে টাকা দিয়েছি কিন্তু এখনও মেশিন পায়নি। সেখানে যেয়ে ২টি মেশিনের খালি বডি দেখতে পাওয়া যায়।
এসময় খবর পেয়ে চন্দনপুর ইউনিয়নের সিল কর্মী জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থলে পৌঁছে জানান, ভাই সবই তো বোঝেন, চলেন চা খাই, কিছু করার দরকার নেই। কাল কলারোয়ায় এসে দেখা করবো আপনার সাথে।

এদিকে গত ৩ জুন শুক্রবার উত্তর রঘুনাথপুর সিআইজি সমিতির সভাপতি আরশাদ আলী পিতা জয়নুদ্দীন এর কাছে চপার মেশিন ও ক্রসার মেশিনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমিসহ আরও কয়েকজন মেশিন নিয়ে এসেছি। বাকী গুলো পরে দেওয়া হবে বলে অফিস থেকে বলা হয়েছে। অন্য সদস্য কে কে মেশিন পেয়েছে তাদের নাম জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বসতে বলে বাড়ী থেকে সটকে পড়েন।