নওগাঁর আত্রাইয়ে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত ৪, আটক ৮

নওগাঁর আত্রাইয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে কৈ মাছ ও কাপ পিরিচ প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের মধ্য নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। এতে উভয় পক্ষর ৪ জন আহত হয়। এঘটনায় মামলা রজু করে আত্রাই থানা পুলিশ ৮ জনকে আটক দেখিয়ে নওগাঁ জেল হাজতে পাঠানো হয়।

আহতরা হলেন, উপজেলার দীঘা গ্রামের শহিদুর ইসলাম(৬২), মনিরুজ্জামান রনি(৩৮), জগদিশপুর গ্রামের জিহাদ(২২) এবং সাহেবগঞ্জ গ্রামের কামনা আক্তার(২৮)।

আটককৃত রাব্বি হোসেন, শহীদ হোসেন, আশিক হোসেন, আশরাফুল ইসলাম, রফিক হোসেন, মোজাফ্ফর হোসেন, হাফিজ ও শহীদকে ২৫ মে শনিবার নওগাঁ জেল হাজতে পাঠানা হয়েছে।

মামলা ও প্রত্যক্ষদশী সূত্রে জানাযায়, গতকাল ২৪ মে শুক্রবার দিবাগত রাত্রি সোয়া ১১ টায় উপজেলার জয়সাড়া গ্রামে কৈ মাছ ও কাপ পিরিচ প্রতীকর কর্মী-সমর্থকের মধ্যে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে ধাক্কা ধাক্কি শুরু হয়। এতে কৈ মাছ প্রতীকের ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম ও ভাতিজা মনিরুজ্জামান রনি এবং সমর্থক জিহাদ আহত হন।

একই ঘটনায় কাপ পিরিচ প্রতীকের বৌমা কামনা আক্তারও আহত হন। আহতরা আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার লুৎফা খাতুন জানান, ২৪ মে দিবাগত রাত্রি ১ টায় ৪ জন সামান জখম হয়ে হাসপাতালে আসলে তাদের চিকিৎসা দিই।

এদিকে দিঘা গ্রামের সাজেদুর রহমান বাদী হয়ে রাত্রি সাড়ে ১২ টায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ঘটনার সময় রাত্রি সাড়ে ৭টা উল্লেখ করলেও প্রকৃতপক্ষে ঘটনা ঘটে রাত্রি সোয়া ১১ টার পর। এদিকে রাত্রি ১১ টায় ঘটনার সময় কৈ মাছ প্রতীকের প্রার্থীর ভাই ও ভাতিজা উপস্থিত থাকায় নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করেছেন মর্মে সচেতন ভোটারেরা অভিযোগ করেন।

কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মমতাজ বেগম জানান, কৈ মাছ প্রতীকের প্রার্থীর ভাই ও ভাতিজা আমার ভোটারকে টাকা দিয়ে কেনার চেষ্টা করছে এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে গেলে তারা আমাদের উপর চড়াও হয়।

আত্রাই থানা তদন্ত ওসি লুৎফর রহমান বলেন, সাদা কার গাড়ীতে করে মানুষ অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার সামনে চেকপোষ্ট বসিয়ে কার গাড়ীসহ ৮ জনকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তব গাড়ীতে কোন অপহরণকারী পাওয়া যায়নি। পরে সাজেদুর রহমান বাদি হয়ে নির্বাচনী কাজে বাধা ও মারধরের অভিযাগ করলে তাদের আটক দেখানো হয়।