নওগাঁর বদলগাছী ব্যাংকের টাকার ব্যান্ডিলে জাল নোট!

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার সোনালী ব্যাংক শাখার ক্যাশিয়ার গোপাল চন্দ্ররের বিরুদ্ধে ১ হাজার টাকার জাল নোট সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদ করতে গেলে গ্রাহকে বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করে হুমকি প্রদান করে।

জানা যায়, উপজেলার তেজাপাড়া গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে সামছদ্দীন (৬০) পুলিশ কনষ্টবলে চাকুরি করতেন সেই সময় নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর সোনালী ব্যাংক শাখায় তাঁর একটি সঞ্চয়ি হিসাব রহিয়াছে যাহার হিসাব নং- ৫৩১০৮০১০১৫৬০১। হিসাব নম্বরটি অনলাইন হওয়ায় তিনি বদলগাছী সদরের সোনালী ব্যাংক শাখায় তাঁর ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা উত্তোলন করতে এলে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার গোপাল চন্দ্র তাঁকে ১ হাজার টাকা নোটের একটি ১লক্ষ টাকার ব্যান্ডিল, ৫ শত টাকা নোটের একটি ৫০ হাজার টাকার ব্যান্ডিল ও ১ হাজার টাকার ২০ টি নোট সরবরাহ করেন। টাকা পেয়ে টাকা গুলি গুণতে শুরু করেন সামছুদ্দীন ১ হাজার টাকার ব্যান্ডিল গুণতে গেলে একটি ১ হাজার টাকার জাল নোট পান তিনি সঙ্গে সঙ্গে ক্যাশিয়ারের কাছে জাল নোটটি নিয়ে গেলে ক্যাশিয়ার গোপাল চন্দ্র কোন প্রতিবাদ না করে জাল নোটটি চেঞ্জ করে দেন তাঁকে। ব্যাংকে জাল নোট কেন থাকবে বলে উক্ত ব্যাংকের ম্যানেজারের সাথে কথা বলতে গেলে ম্যানেজার ব্যাংকে না থাকায় অন্য অফিসার দেরকে জাল নোটের বিষয়টি অবগত করতে থাকলে ক্যাশিয়ার গোপাল চন্দ্র তার চেয়ার থেকে উঠে এসে গ্রাহকের উপড় চড়াও হয়ে গ্রাহকে অশ্লিল ভাষায় বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদর্শন করতে থাকেন।

ভুক্তভোগী গ্রাহক সামছুদ্দীন বলেন, ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বদলগাছী সোনালী ব্যাংক শাখায় আমার ৫৩১০৮০১০১৫৬০১ নম্বর সঞ্চয়ী হিসাব থেকে আমি ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা উত্তোলন করি বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটে। ক্যাশিয়ার গোপাল আমাকে ১ হাজার টাকা নোটের ১ টি ব্যান্ডিল ৫ শ টাকা নোটের ১ টি ব্যান্ডিল ও ২০ হাজার টাকার ২০ টি ১ হাজার টাকার নোট সরবরাহ করেন। সেই টাকা গুলি গুণতে গিয়ে ১ হাজার টাকার ব্যান্ডিলে একটি জাল নোট দেখতে পাই। সংগে সংগে আমি টাকা নিয়ে ক্যাশিয়ারের কাছে গেলে তিনি জাল নোটটি চেঞ্জ করে দেন।

জাল নোটের বিষয়টি আমি ব্যাংক ম্যানেজারকে অবগত করতে গিয়ে দেখি ম্যানেজার নেই। তাঁকে না পেয়ে ব্যাংকে অন্য অফিসারদের বিষয়টি জানালে তিনি তাঁর চেয়ার থেকে লাফিয়ে উঠে আমাকে বিভিন্ন ভাবে গালাগালি সহ হুমকি প্রদর্শণ করতে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংক থেকে কিভাবে জাল নোট বের হয়। আমি এর বিচার চাই। প্রতিবাদ করতে গিয়ে কেন আমার সাথে দূব্যবহার করলো। আমি সোনালী ব্যাংকের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে এর বিচার দাবি করছি।

জাল নোট বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার গোপাল চন্দ্ররের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক সহ ঐ গ্রাহকের উপড় চড়াও হন ও বিভিন্ন গালিগালাজ করতে থাকেন।

এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের শাখার ম্যানেজার এস. এম. রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমি অফিসের কাজে ঢাকায় আছি । বিষয়টি আমি শুণেছি আমি ঢাকা থেকে ফিরে এর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

অপরদিকে, অনেক সরকারী চাকুরিজীবি, ব্যবসায়ী, শিক্ষক ও সধারন জনগণ বলেন, এই ক্যাশিয়ার এখানে যোগদানের পর থেকে। সরকারি বিল, ঠিকাদারী বিল ও বিভিন্ন ধরণের বিল তুলতে গেলে কমিশন কেটে নেন বলেও রয়েছে একাধীক ব্যক্তি মৌখিক অভিযোগ করেন।