নওগাঁর রাণীনগর শতভাগ গৃহহীন-ভূমিহীন মুক্ত উপজেলা

নওগাঁ জেলার প্রথম উপজেলা হিসেবে শতভাগ গৃহহীন-ভূমিহীন মুক্ত হয়েছে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা। সম্প্রতি গণভবন থেকে ভিড়িও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে আশ্রয়ন প্রকল্পের-২য় ধাপে নির্মিত ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী দেশের ৫২টি উপজেলার সঙ্গে রাণীনগরকেও শতভাগ গৃহহীন-ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক গৃহিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের কয়েকটি ধাপের আওতায় উপজেলার একডালা, কালীগ্রাম, বড়গাছা ও কাশিমপুর ইউনিয়নে ১ম পর্যায়ে ৯০টি, ২য় পর্যায়ে ৩৩টি ও ৩য় পর্যায়ে ৫৩টিসহ মোট ১৭৬টি গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবারকে পুর্নবাসন করা হয়েছে।

দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি বাড়িতে দুটি কক্ষ, সংযুক্ত রান্নাঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দাও রয়েছে। প্রতিটি আশ্রয়ন পল্লীতে বাড়ি নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গেই বিদ্যুৎ সংযোগ, বিশুদ্ধ পানির জন্য টিউবয়েল স্থাপন, চলাচলের জন্য রাস্তা ও নামাজের জন্য মসজিদসহ প্রধান প্রধান প্রয়োজনগুলো নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক প্রকৃত গৃহহীন-ভূমিহীনদের জন্য এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।

উপজেলার আমিরপুর গ্রামের আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পাওয়ার পর গৃহহীন শেফালী বেগম বলেন, আগে পরিবার নিয়ে মানুষের জায়গায় কুঁড়েঘর করে থাকতাম। কখনও ভাবিনি যে ইটের রঙিন বাড়ির মালিক হবো আর সেখানে পরিবার নিয়ে রাত কাটাবো। ধন্যবাদ মানবিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এখন কর্ম করবো আর সুখে স্বামী-সন্তানদের নিয়ে ইটের বাড়িতে থাকবো। আর প্রধানমন্ত্রীর জন্য সবসময় দোয়া করবো।

জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান বলেন, এটি অত্যন্ত আনন্দের বিষয় এই যে জেলার প্রথম উপজেলা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী রাণীনগর উপজেলাকে গৃহহীন-ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দশটি উদ্যোগের মধ্যে আশ্রয়ন প্রকল্প একটি মানবিক উদ্যোগ। বিশ্বের কোনো দেশে লাখ লাখ গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষকে জমিসহ ঘর প্রদান করে পূর্নবাসন করার দৃষ্টান্তর নেই। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীন-ভূমিহীনদের ঘর দিয়ে বিশ্বে সেই মহান দৃষ্টান্তর স্থাপন করেছেন, যা বিশ্ব নেতাদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।