নরসিংদীর মদনগঞ্জ সড়কের পাশের ডোবা থেকে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার

নরসিংদীর মাধবদীতে মদনগঞ্জ সড়কের একটি ডোবার পানিতে ভেসে থাকা অবস্থায় অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারী) সকাল ১০টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেলেও দুই থানার সীমানা জটিলতায় প্রায় ৬ ঘণ্টা পর ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিকেলে ৪টার দিকে মাধবদী থানার পুলিশ সড়কটির ফু-ওয়াং চুং হুয়া প্রপার্টিজ লিঃ এর পাশের ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

অজ্ঞাত ওই ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ৬৫ এর কাছাকাছি। এ সময় তাঁর পরনে ছিল ধূসর সাদা রংয়ের পাঞ্জাবি ও কাছাকাছি রংয়ের সোয়েটার।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি ওই ডোবায় একটি মরদেহ ভেসে থাকতে দেখেন। এসময় নরসিংদী মডেল থানার পুলিশকে ঘটনা জানানো হলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়াসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন। পরে তারা জানতে পারেন ঘটনাস্থলটি মাধবদী থানার অন্তর্ভুক্ত। মাধবদী থানা-পুলিশকে ঘটনা জানালে দুপুরের পর ওই থানার উপপরিদর্শক আরিফুর রহমান ঘটনাস্থলে আসেন। পরে ডোবা থেকে লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। বিকেল ৪টার দিকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

মাধবদী থানার উপপরিদর্শক আরিফুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় তাঁর শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাঁর পরিচয় শনাক্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এর সদস্যরা চেষ্টা করছেন। তারা লাশের আঙুলের ছাপ নিয়েছেন কিন্তু আঙুলের রেখা স্পষ্ট না হওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া জানান, ডোবায় লাশ ভেসে থাকার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পরে জানতে পারি, ঘটনাস্থল মাধবদী থানার আওতাধীন। পরে ওই থানা-পুলিশকে মেসেজ দিয়ে ঘটনা জানিয়ে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকীবুজ্জামান জানান, প্রথমে নরসিংদী মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল লাশ উদ্ধার করতে কিন্তু তারা লাশ উদ্ধার না করে আমাদের খবর জানান। পরে আমরা ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি।

রকীবুজ্জামান আরও জানান, তাঁর নাম-পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ওই ব্যক্তি তিন-চারদিন আগে মারা গেছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে । ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মারা যাবার কারণ জানা যাবে।