নরসিংদী রায়পুরায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের অপচেষ্টা

নরসিংদী রায়পুরায় জামাত শিবির নেতা ইব্রাহিম খলিল সেন্টু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর দাপটে প্রকৃত জমির মালিক সোহেল ভূইয়া জমিতে ফিরতে পারছে না।

জানা যায়, রায়পুরা পৌর শহরের কলাবাড়িয়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে সোহেল ভুইয়া। দাদার সম্পত্তি বিক্রি করে ও ব্যবসার টাকা দিয়ে রায়পুরা পশ্চিমপাড়া এলাকার প্রদীপ সাহা, চন্দনা দে ও খোকন দে’র কাছ থেকে রায়পুরা মৌজায় সিএস ও এসএ ২৬০নং এবং আরএস ৬০২দাগে পৃথকভাবে ০৬ শতাংশ জমি ক্রয় করা হয়।

পরে রায়পুরা দলিল লিখক সমিতির সভাপতি আব্দুল মোতালিব, সিদ্দিকুর রহমান, ইদ্রিস আলী, ইব্রাহিম খলিল সেন্টু ও মনিরুজ্জামান মিন্টু কয়েকজন মিলে সেখানে টিনের ঘর ভেঙে পাকা স্থাপনা নির্মান শুরু করে।

পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গেলে তারা হাতুরী, দা, লাঠি নিয়ে হামলার চেষ্টা করলে দৌড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। রায়পুরা থানা পুলিশের সহযোগিতা নিলে তারা প্রতিপক্ষের লোকদের সীমানা নির্ধারণ করে কাজ করার কথা বলে। আদালতের শরনাপন্ন হলে আদালত সকল কাগজপত্র পর্যালোচনা করে জায়গার উপরে ১৪৫ ধারা জারি করে দেয়।

এদিকে খোজ নিয়ে জানা যায়, ইব্রাহিম খলিল সেন্টু এলাকায় একজন জামাআত শিবিরের সক্রিয় নেতা হিসেবে পরিচয় দেয়। এমনকি সে নিজের দোকান নিজেই ভাংচুর করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে যে তার দোকান অন্য কেউ ভেঙ্গে দিয়েছে। অথচ তাকে একাধিকবার জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য বলা হলে সে বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে পালিয়ে বেড়ান।

পৌর শহরের জয়নাল মিয়া সংবাদকর্মীদের জানান, সোহেল ভূইয়া নগদ অর্থ পরিশোধ করে জমি ক্রয় করলেও প্রতারকরা তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করে আসছে। তারা বিভিন্ন সময় এরূপ কাজ করে প্রকৃত জমির মালিকদের হয়রানী করে থাকে।

এদিকে নরসিংদী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক রায় হয়েছে: টখঅঙ এর প্রতিবেদন মতে নালিশা ভূমিতে ১ম পক্ষ অর্থাৎ সোহেল ভূইয়ার দখল বিদ্যমান। ২য় পক্ষ বহুদিন যাবত সময় চেয়ে কালক্ষেপন করছেন। সার্বিক দিক বিবেচনায় ২য় পক্ষকে ফৌ: কা: বি: ১৪৫ ধারামতে ১ম পক্ষের দখলীয় ভূমিতে প্রবেশ হতে নিষোধাজ্ঞা দেওয়া হলেও আদালতের নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ন অবজ্ঞা করে প্রতারক চক্রটি বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুনামধন্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ করে আসছে।

স্থানীয় লোকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিবাদী ইব্রাহিম খলিল সেন্টুর উক্ত জায়গায় প্রকৃত কোন কাগজপত্র নেই। কোথাও সে প্রকৃত কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেনি বিধায় আদালত তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। নিরীহ সনাতন ধর্মাবলম্বী তাদের উপর জোর-জুলুম করে পেশিশক্তি ব্যবহার করে তাদের জমি দখল করে এই ইব্রাহীম খলিল সেন্টু। এরকম অনেক অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে। প্রকৃত জমির মালিকদের অন্যায়ভাবে বিভিন্ন কায়দা করে ফাসিয়ে জায়গা দখল করে আত্মসাৎ করার চেষ্টা করে এই চক্রটি।

এদিকে সংবাদকর্মীরা ২য় পক্ষ সিদ্দিকুর রহমান ও তার বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তারা এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এদিকে প্রকৃত মালিক সোহেল ভূইয়ার নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নগদ টাকা দিয়ে জমি ক্রয় করেছি। আমার কাগজপত্র সব সঠিক থাকলেও প্রতারক চক্রের সদস্যরা রাতের আধারে দোকানে ভাংচুর করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করছে ও অপপ্রচার চালাচ্ছে।