নিজের বই চিবিয়ে ভুল ভবিষ্যদ্বাণীর খেসারত!

টুইটার বা অন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে যারা যুক্তরাজ্যের নির্বাচনের দিকে নজর রেখেছেন, তাদের কাছে অধ্যাপক ম্যাথু গুডউইন একজন পরিচিত রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

মে মাসের শেষদিকে জনমত জরিপগুলো যখন জেরেমি করবিনের দল লেবার পার্টির জনপ্রিয়তার পালে হাওয়া লাগার আভাস দেয়, এক টুইটে তা উড়িয়ে দেন ইউনিভার্সিটি অব কেন্টের অধ্যাপক গুডউইন।

তার বক্তব্য ছিল- এসব জরিপ-টরিপের ফল আসল ভোটে খাটবে না। জেরেমি করবিনের অধীনে লেবার পার্টি যদি সত্যিই জনমত জরিপে দাবি করা ৩৮ শতাংশ ভোট পায়, তাহলে অধ্যাপক গুডউইন ব্রেক্সিট নিয়ে তার নতুন বই সানন্দে চিবিয়ে খাবেন বলে ওই টুইটে ঘোষণা দেন। এরপর ৮ জুন ভোট দিল যুক্তরাজ্য।

শুক্রবার সকালে তার ফল এলো। দেখা গেল, করবিনের দল সবচেয়ে বেশি আসন না পেলেও ৪০ শতাংশ ভোট ঠিকই পেয়ে যায়।

এবার মুশকিলে পড়েন অধ্যাপক গুডউইন। যারা তার সেই টুইটের কথা মনে রাখেন, তারা এবার সরব হলেন। অনেকেই টুইট করে জানতে চাইলেন, ম্যাথু গুডউইন কখন খাবেন তার বই? ওই চাপে সাড়া দিলেন তিনি।

শনিবার টুইটারে তিনি জানালেন, চোখ রাখতে হবে স্কাই নিউজে। এদিন বিকাল সাড়ে ৪টায় যুক্তরাজ্যের টিভি দর্শকরা স্কাই নিউজ খুলে ম্যাথু গুডউইনকে পেলেন লাইভে।

হাতে তার সেই বই- ‘ব্রেক্সিট : হোয়াই ব্রিটেন ভোটেড টু লিভ দ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।’ ওই বইয়ের পৃষ্ঠা তাকে চিবাতে দেখলেন দর্শকরা। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া এলো টুইটারে। একজন লিখলেন, যুক্তরাজ্যে ভোটের প্রভাব নিয়ে কেউ যদি সচিত্র বর্ণনা চান, এর চেয়ে ভালো কিছু আর হয় না।

অবশ্য গুডউইনের সেই ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করে সংবাদমাধ্যমটি যে ক্যাপশন দেয়, তাতে তাদের পুরোপুরি সন্তুষ্ট মনে হয়নি। তারা লিখেছে, নির্বাচন নিয়ে ভুল পূর্বাভাস দেয়ার এই লোক তার বই (কিছু অংশ) লাইভে চিবিয়ে খেয়েছেন।

বিতর্কের শুরু থেকে গুডউইন সম্পর্কিত বেশকিছু টুইট একসঙ্গে জড়ো করে ডেইলি এজ তাদের প্রতিবেদনে প্রশ্ন তুলেছে, এই অধ্যাপককে বইয়ের পৃষ্ঠা চিবাতে দেখা গেছে। কিন্তু এক টুকরোও কি তিনি গিলেছেন?