নেতাজি অন্তর্ধান রহস্যের সমাধান! কী ভাবে মৃত্যু! জানিয়ে দিল মোদী সরকার

বিমান দুর্ঘটনাতেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু হয়েছিল বলে জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। তথ্যের অধিকার আইনের মাধ্যমে করা একটি আবেদনের উত্তরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে ১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট বিমান দুর্ঘটনাতেই নিহত হন।

আরটিআই আবেদনের উত্তরে বলা হয়েছে, ‘‘শাহনওয়াজ কমিটি, বিচারপতি জিডি খোসলা কমিশন ও বিচারপতি মুখোপাধ্যায় কমিশনের রিপোর্ট বিবেচনা করে সরকার এই সিদ্ধান্তে এসেছে যে, ১৯৪৫ সালে বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল।’’

ওপেন প্ল্যাটফর্ম ফর নেতাজির মুখপাত্র সায়ক সেন তথ্য জানার অধিকার আইনের মাধ্যমে এই প্রশ্নটির উত্তর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন।

সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকার আরও বলেছে, ‘‘গুমনামি বাবা ও ভগবানজির সম্বন্ধে কিছু তথ্য মুখোপাধ্যায় কমিশনের রিপোর্টে ১১৪-১২২ পাতায় রয়েছে। মুখোপাধ্যায় কমিশন এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিল গুমনামি বাবা/ভগবানজি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ছিলেন না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও নেতাজি সংক্রান্ত সব ফাইল (২৭টি) প্রকাশ করে দিয়েছে।’’

কেন্দ্রের তরফ থেকে এই উত্তর পেয়ে নিজেদের হতাশা গোপন করেননি নেতাজির পরিবারের সদস্যদের কয়েকজন। নেতাজির প্রপৌত্র ও রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি চন্দ্র বসু বলেন, ‘‘এটি দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ হয়েছে। কোনও উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া সরকার কী ভাবে নেতাজির মৃত্যু নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছালো?’’

চন্দ্র বোস বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন। কারণ নরেন্দ্র মোদী নেতাজি সংক্রান্ত সব ফাইল প্রকাশ্যে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই সব ফাইলগুলি পরীক্ষা করে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যেত বলে মন্তব্য করেন চন্দ্র। এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই কেন্দ্রীয় সরকার তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়াতে ক্ষুব্ধ চন্দ্র বসু।

সায়ক সেনও বলেছেন, ‘‘আমরা নেতাজি রহস্যের উন্মোচন করতে চাই। কারণ, বিমান দুর্ঘটনাতেই নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল, তা নিয়ে কোনও তথ্য প্রমাণ নেই।’’

নেতজির পরিবারের একাংশ ও অনেক গবেষকও মনে করেন বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের এই আরটিআই উত্তর সেই বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিল।