নেত্রকোণার মদনে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা কারিগররা

আগামী ২০ অক্টোবর শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।তাঁর আগমনকে ঘিরে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির কারিগররা। একটানা কয়দিন বৃষ্টি থাকায় কাজ করতে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। তাই দিনরাত পরিশ্রম করে নিপুণ হাতে তৈরি করছে প্রতিমা।

এ বছর উপজেলা মোট ১৬ টি মন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে পৌরসভায় ৬ টি, ফতেপুর ইউনিয়নে ৩ টি, কাইটাইল ইউনিয়নে ৩ টি, মদন ইউনিয়নে ১ টি, মাঘান ইউনিয়নের ২ টি গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নে ১ টি মোট ১৬ টি দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। গতবারের তুলনায় এবার বেশি বলে পূজা উদযাপন পরিষদ থেকে জানানো হয়েছে।

সারর্দীয় দূর্গাৎসবকে কেন্দ্র করে রাতদিন কাদা মাটি দিয়ে একটু একটু করে নিপুণ হাতে গড়ে তুলছেন দেবী-দূর্গার প্রতিমা।ধরণীর শক্ত মাটি নরম করে দেবী দূর্গার সাথে গড়ে তুলছে কার্তিক,গণেশ,লক্ষী আর সরস্বতীর মূর্তি।

এখন কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন রং এর কাজে। এ ছাড়া লাইটিং, প্যান্ডেল ও গেট সাজানোর কাজও চলছে তরিৎ গতিতে। অধিকাংশ মন্দির থেকে হাফ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থাকছে লাইটিং এর ব্যবস্থা। মহালয়ের আগেই প্রতিমা তৈরির সকল কাজ সম্পন্ন করবেন বলে জানিয়েছেন কারিগররা।পূজা উদযাপনের প্রস্ততির কাজ ইতিমধ্যে আশি ভাগ শেষ হয়েছে। প্রতিটা পূজা মন্ডপে সকল ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

জাহাঙ্গীর পুর শ্রী শ্রী রাম মন্দিরে প্রতিমা তৈরি কারিগর জানান, প্রতিমা তৈরির বাঁশ, খড়, মাটিসহ অন্যান্য উপকরণের দাম বৃদ্ধি পেলেও বাড়েনি প্রতিমা তৈরি মূল্য। আর্থিকভাবে লাভবান না হলেও পৈত্রিক পেশা ধরে রাখতে এ কাজ করে যাচ্ছে কারিগররা।

ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সামিউল হায়দার শফি জানান,আমার ইউনিয়নে এ বছর ৩ টি মন্দিরে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে, প্রতিটি পূজা মন্ডপে নিরাপত্তা স্বার্থে সি সি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

মদন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু স্বপন কুমার পাল জানান, গতবারের তুলনায় এবার ১টি পূজা মন্ডপ বেশি হয়েছে। প্রতিটি পূজা মন্ডপে নিরাপত্তা স্বার্থে সি সি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।