নেত্রকোণার মদনে ধনপুর গ্রামে দু’পক্ষের বিরোধে বিপাকে বর্গাচাষী

নেত্রকোণা মদনে গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের ধনপুর গ্রামে দু’পক্ষের জমির বিরোধের জেরে বিপাকে পড়েছে বর্গাচাষী রাজন মিয়া। পদমশ্রী মৌজায় ২০৫৯ খতিয়ানে ১৯৯৩ দানে ৩৫ শতাংশ জমির পাকা ধান কাটতে অবশেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরণাপন্ন হন।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) সরজমিনে গেলে জানা যায়, হাওরের সকল ধান কাটা শেষ হলেও একই গ্রামের সামছুদ্দিনের ছেলে সাইফুল ও আব্দুল মৌলার ছেলে রাব্বির ভয়ে জমির পাকা ধান কাটতে পারছে না বর্গাচাষী রাজন। এ বিষয়ে গত ০৩ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন রাজন মিয়া।

বর্গাচাষী রাজন বলেন, মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মঞ্জুরুল হকের কাছ থেকে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও চাষের জন্য জমি বর্গা নেই। জমিতে ধান রোপনের পর শামসুদ্দিন গং জানায় জমির মালিক তারা। তারা আরো জানান, এ বছর যেহেতু জমিতে ধান রোপন করে ফেলেছ ধান কাটার পর আর জমিতে এসো না। এখন ধান কাটার সময় হইছে সাইফুল ও রাব্বির ভয়ে ধান কাটতে পারছিনা।

শামসুদ্দিনের ভাতিজা বাদল মিয়া জমি দেখিয়ে বলেন, কাগজ অনুযায়ী এই জমির মালিক আমরা। কিন্তু দীর্ষ দিন ধরে চাষ করছে রাজন। এবছরও সে চাষ করছে। আগে বলেছিলাম জমির ধান থাকে দিয়ে দিবো। কিন্তু এখন আর রাজনকে ধান কাটতে দেয়া যাবেনা। রাজনকে ধান কাটতে দিলে আমরা মামলায় হেরে যাব।

গোবিন্দশ্রী ইউনিয়ন উপ -সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম চন্দন জানান, আমি তদন্তে গিয়ে জানতে পারি উক্ত জমি তৃতীয় পক্ষ মৃত জহুর চানের ছেলে রাজন মঞ্জুরুল হকের কাছ থেকে বর্গাচাষ করেন।

গোবিন্দশ্রী ইউপি চেয়ারম্যান মাঈদুল খান মামুন জানান, রাজন মিয়া মঞ্জুরুল হকের কাছ থেকে জমি বর্গা নিয়ে চাষ করেন এটা সত্য। বি আর এস এর মালিক শামছুদ্দিন। এই জমি নিয়ে দু’পক্ষের মাঝে মামলা চলমান রয়েছে। তাই অচিরেই উক্ত ওয়ার্ডের মেম্বার ও আমার দায়িত্বে ধান কাটা হবে। পরে জমির প্রকৃত মালিককে ধান বুঝিয়ে দেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিনা শাহরীন বলেন গত ০৩ মে লিখিত অভিযোগ ফেয়েছি। আবেদনটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মদন থানার অফিসার ইনচার্জকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।