নেত্রকোনার মদনে প্রেমিকাকে অপহরণের দায়ে প্রেমিক করাগারে

নেত্রকোনার মদনে প্রেমিকাকে অপহরণের দায়ে প্রেমিক আলী রাজ ও তার সহযোগী ইজি বাইক চালক হায়দারকে শুক্রবার সন্ধ্যায় জেল হাজতে প্রেরণ করেছে মদন থানা পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের শিব্বাশা গ্রামে। এর আগেও একই ঘটনায় গত ১০ মার্চ ২০২০ ইং তারিখে আলী রাজকে গ্রেপ্তার করে মদন থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে থানায় তার বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা রয়েছে। মামলাটি এখনও নিস্পত্তি হয়নি। প্রেমিক আলীরাজ শিবপাশা গ্রামের তমজিদের ছেলে ও ইজিবাইক চালক একই গ্রামের মৃত মতিউর রহমানের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মদন থানা পুলিশ শিব্বাশা গ্রামে টহলরত অবস্থায় এক প্রেমিক যুগলকে অটোচালকসহ আটক করে মদন থানায় নিয়ে আসে। পরে প্রেমিকা প্রেমিকের বিরুদ্ধে তাকে অপহরণের অভিযোগ আনে। এ ঘটনায় শুক্রবার প্রেমিকার ভাই প্রেমিক আলী রাজ ও তার সহযোগি ইজি বাইক চালকসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনকে আসামি করে মদন থানায় অপহরণ একটি মামলা দায়ের করেন । এরই প্রেক্ষিতে তাদেরকে নেত্রকোনা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়।

 
ভিক্টিম জানান, গত রাতে আমি যখন প্রকৃতির ডাকে বাহিরে আসি তখন হঠাৎ করে কোথায় থেকে এসে আলীরাজ আমার মুখ চেপে ধরে অটোরিকশাতে করে তুলে নিয়ে আসার পথে পুলিশ আমাদের আটক করে থানাতে নিয়ে আসে।

অভিযুক্ত আলীরাজ জানান, তার সাথে আমার দীর্ঘদিনের গবীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সে আমার সাথে পালাবে বলে আমি অটোরিকশা নিয়ে তার বাড়ির সামনে অবস্থান করি। পরে তাকে নিয়ে পালিয়ে আসার সময় শিব্বাশা উত্তর পাড়ার রাস্তায় থেকে পুলিশ আমাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এখন সে তার ভাইদের ভয়ে মত পাল্টাচ্ছে।

 
অভিযুক্তের মা ইউপি সদস্য মন্দিরা আক্তার জানান, আমার ছেলের সাথে ওই মেয়ে নিজ ইচ্ছাই পালিয়েছে। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। আমার ছেলে  তাকে অপরণ করেনি। এক বছর আগেও ওই মেয়ের পরিবার আমার ছেলের বিরুদ্ধে একটি অপহরণের মামলা করেছিল। ওই মামলায় আমার ছেলে এক সপ্তাহ হাজতবাস করে। মেয়ের পরিবার রাজী থাকলে ওই মেয়েকে আমার পুত্রবধূ করতে কোন আপত্তি নেই।

মদন থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস আলম জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পুলিশের চেকপোস্টে এক কিশোরীসহ দুই যুবককে আটক করে আমার পুলিশ থানায় নিয়ে আসে। কিশোরীর ভাইয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অপহরণ মামলা রজু করে আসামিদের শুক্রবার নেত্রকোনা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।