নোয়াখালীর চাটখিলে মায়ের সামনে শিক্ষককে পেটালো অষ্টম শ্রেণির ছাত্র!

নোয়াখালীর চাটখিলে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রের মারধরের শিকার হয়েছেন শিক্ষক।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ভুক্তভোগী শিক্ষক চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। এর আগে, গতকাল বুধবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার পাঁচগাও ইউনিয়নের আফসারখিল গ্রামের দাওয়াতুল ঈমান মডেল বিজ্ঞান কারিগরি দাখিল মাদরাসার মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ছাত্র (১৬) উপজেলার পাঁচগাও ইউনিয়নের আফসারখিল গ্রামের বাসিন্দা।

হামলার শিকার শিক্ষক আবদুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত ছাত্র অনেক দিন মাদরাসায় আসে না। বুধবার সে মাদরাসায় ক্লাস করতে আসলে শিক্ষকরা তাকে অভিভাবক নিয়ে মাদরাসায় আসতে বলে। পরে সে বুধবার দুপুর ১টার দিকে তার মাকে নিয়ে মাদরাসায় আসে। তখন কয়েকজন শিক্ষক ও তার মায়ের সামনে আমি তার কয়েকটি অনিয়মের বিষয় তুলে ধরি। পরে আমি তৃতীয় শ্রেণির কোরআন শিক্ষার ক্লাস নিতে ওই ক্লাসে চলে যাই।

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, একপর্যায়ে সে আরেক ছাত্রকে দিয়ে মাদরাসার অফিসে আমাকে ডেকেছে বলে মিথ্যা কথা বলে ডেকে পাঠান। আমি মাদরাসার মাঠ দিয়ে অফিসে যাওয়ার পথে ওই ছাত্র তার মায়ের সামনে আকস্মিক আমার কোমরে লাথি মেরে রড দিয়ে আঘাত করে। আমি হাত দিয়ে রডের আঘাত ঠেকিয়ে দৌড়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করি।

এ ছাড়াও লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ছাত্র মাদরাসা এলাকার বাসিন্দা। সে একজন বখাটে, উশৃঙ্খল, নারী উত্যক্তকারী, নেশাখোর কিশোর। ইতিপূর্বে মাদরাসার নিয়ম ভঙ্গ করে সে বহুবার বহিস্কৃত হয়। তার পিতা-মাতা ক্ষমা চাওয়ার প্রেক্ষিতে তাকে পুনরায় মাদরাসায় নেওয়া হয়। তার নেতৃত্বে মাদরাসা এলাকায় কিশোর গ্যাং পরিচালিত হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ছাত্রের মায়ের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন তরুণ তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।