পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় স্বামীর দাবীতে মনোয়ারা বেগমের অনশন

১ম স্বামীর সংসার ভেঙে বিয়ে করেছেন রাসেল, সংসার করতে চান মনোয়ারা। আর সেকারণেই পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় ২য় স্বামীর বাড়িতে অনশন পালন করছেন মানোয়ারা বেগম (৩৩) নামের এক গৃহবধূ।

রোববার (৩ মার্চ) দুপুর ১টা থেকে তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ হারাদিঘী কাজীপাড়া গ্রামে স্বামী রাসেল (২২) বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন মনোয়ারা। মনোয়ারা বেগম দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুরিয়া ইউনিয়নের দাড়িয়া গ্রামের আব্দুল রউফের মেয়ে।

দুপুর গড়িয়ে বিকেল, তারপর সন্ধ্যা এরপর রাত ৮টা বেজে গেলে তবুও বাড়ির দরজা না খোলায় গেটের সামনেই ফুফাতো ভাইয়ের বউ (ভাবি) কে নিয়ে বসে পড়েন। দীর্ঘ সময় পার হলেও অনশনে থাকা অবস্থায় ওই নারীকে কেউ উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেননি।

মনোয়ার বেগম জানান, মুঠোফোনে তাদের কথা হওয়ার এক পর্যায় রাসেল মনোয়ারার বাড়িতে যায় তাকে এবং তার সন্তান দুটিকে দেখেন। এরপর রাসেলের কথামত মনোয়ারা তার স্বামীকে ডিভোর্স দেয়। ডিভোর্স দেওয়ার পর রাসেল তাকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। সংসার ভালোই চলছিল। মনোয়ারা আরও বলেন, যখন রাসেল তাকে তার বাপের বাড়িতে রেখে আসেন তখন রাসেল তার সঙ্গে ফোনে কথা বলে আসছিলেন। একপর্যায় রাসেল যখন কথা বলা কমিয়ে দেয় তখন তার মনে সন্দেহ জাগে পরে বুঝতে পারেন রাসেল আরেকটি বিয়ে করেছেন। তাই স্বামীর সংসার করার জন্য তিনি রাসেলের বাড়ীতে অনশন পালন করছেন বলে জানা গেছে। সবমিলিয়ে তাদের ৩ বছরের সম্পর্ক হয়েছে জানিয়েছেন মনোয়ারা বেগম।

রাসেলের বাবা আব্দুর রহমান ওরফে আজিরুল জানান, আমার ছেলে তাকে তালাক দিয়েছে। তালাকের নোটিশও ওই মেয়েটি পেয়েছেন। এদিকে মনোয়ারা বলছেন, তিনি কোনো তালাকের নোটিশ পাননি এবং তাকে কোনো টাকাও দেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে ইউপি সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আনোয়ারা পারভীন বলেন, কাগজপত্রে দেখা যায় রাসেল মেয়েটিকে বিয়ে করেছেন। এদিকে রাসেল আরেকটি বিয়ে করায় ওই মেয়েটি তার বাড়িতে এসেছেন। প্রথমে মেয়েটি রাসেলের বাড়িতে ঢুকে পড়লে পরে বাড়ী থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।
অত্র ইউনিয়নের ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাইতু হক জানান, রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মেয়েটি রাসেলের বাড়ীর সামনেই অনশনে অবস্থান করছেন, মেয়েটি এখন পর্যন্ত সেখান থেকে নড়েন নাই।

এ ব্যাপারে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। তবে লোকমুখে জানতে পেরেছি।