পঞ্চগড়ে অপহরণের ৫দিন পর কলেজ ছাত্রের লাশ উদ্ধার, আটক-২

পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় ফাহিদ হাসান সিফাত (১৮) নামের ৫ দিন অপহরণের পর কলেজ ছাত্রের লাশ উদ্ধার করছে র‌্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শনিবার সকালে ৮টা সময় আটক কৃত অপহরণকারী মতিউর রহমানের স্বীকারোত্তীতে উপজেলার ছোটদাপ এলাকায় মাটিতে পুতে রাখা লাশ উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

এঘটনায় দুইজনকে আটক করে র‌্যাব আটককৃরা একজন ছোটদাপ এলাকার মখলেছার ছেলে মতিউর রহমান অপর একজন ্ওই এলাকার ওসমানের ছেলে লিমন।

নিহত ফাহিদ হাসান সিফাত উপজেলা ছোটদাপ এলাকার মোঃ শফিকুল ইসলামের ছেলে। সে দিনাজপুর আর্দশ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছিল।

এদিকে গত ৪ জানুয়ারী রাতের সময় ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় আর পরে ফিরেনি সিফাত। বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়াতে অনেক খোঁজাখুজি করেও তার কোন প্রকার যোগাযোগ মেলে নাই এবং তার ব্যবহৃত মুঠোফোন নাম্বার দুইটি বন্ধ ছিল। পরের দিন আটোয়ারী উপজেলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছিল।

গত ৬ জানুয়ারী রাত ৯ টার সময় সিফাতের নাম্বার থেকে বাবার মুঠোফোনে ফোনে পাঁচ লক্ষ টাকা সিফাতের জন্য মুক্তিপণের দাবী করা হয়। অন্যথায় মুক্তিপণ সময় মত না দিলে সিফাতের প্রাণে মেরে ফেলার এক প্রকার হুমকি দেয় অপহরণকারীর চক্র। পরের দিন দুপুরে ফোন আসে এবং সিফাতের কান্নার আওয়াজ শোনা যায় পরবর্তিতে তার বাবা বিকাশে আট হাজার টাকা দিয়ে দেন।

পরিবার লোকজনের সূত্রে জানা যায়, নিহত সিফাতের সন্ধান কোন ভাবে না পেয়ে র‌্যাব-১৩ এর অধিনায়ক বরাবরে ছেলের উদ্ধারের জন্য আবেদন করেন নিহতের বাবা শফিকুল ইসলাম।

ঘটনার বিবরণী প্রেস ব্রিফিং র‌্যাব-১৩ নীলফামারী ব্যাটলিয়নের কমান্ডার রেজা আহমেদ ফেরদৌস জানান, নিহত সিফাতের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ট্রাকিং এর মাধ্যমে উপজেলার ছোটদাপ এলাকার মখলেছের ছেলে মতিউর রহমানকে আটক করা হয়। পরবর্তিতে তার স্বীকারোত্তীতে ওসমান ছেলে লিমনকে(২২) আটক এবং নিহত সিফাতের লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হই। লাশ উদ্ধারের পর পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।

এদিকে সিফাতের বাবা শফিকুল ইসলাম তিনি জানান, এ হত্যাকান্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হক যাতে করে আমার মত আর কোন বাবা মার বুক খালি না হয়।

এব্যাপারে আটোয়ারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইজার উদ্দিন ঘটনার বিষয় নিশ্চিত করে বলেন মামলার প্রস্তুতি চলছে।