মাদারীপুরে নিখোঁজের ১১মাস পরে প্রেমিকের সেফটিক ট্যাংকিতে মিললো কিশোরীর লাশ

মাদারীপুরের ডাসারে নিখোঁজের এগার মাস পর প্রেমিকের সেপটিক ট্যাংকিতে মিলল কিশোরীর লাশ। ডাসার থানার পূর্ব বোতলা গ্রামে শনিবার (৯ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর জেলার ডাসার থানার পূর্ব বোতলা গ্রামের চাঁনমিয়া হাওলাদারের দশম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে মুর্শিদা আক্তারের সাথে একই গ্রামের মজিদ আকনের ছেলে সাহাবুদ্দিন আকনের প্রেমের সম্পর্ক হয়েছিল। এই সম্পর্কের সূত্র ধরেই গত বছরের ফ্রেব্রæয়ারি মাসে মুর্শিদাকে বাড়ি থেকে চিকিৎসা করানো কথা বলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে মুর্শিদা নিখোঁজ থাকার কারণে গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদার পরিবার ডাসার থানায় একটি জিডি করে। এতে কোন প্রতিকার না পেয়ে গত বছরের ৪ মার্চ সাহাবুদ্দিনসহ ৫ জনকে আসামী করে ডাসার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মুর্শিদার মা মাহিনুর বেগম। মামলাটি দীর্ঘদিন কোন অগ্রগতি না হওয়া বাদী পক্ষ মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তরের আবেদন করে। পরে মামলাটি মাদারীপুর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত ভার গ্রহণ করেছে। এরপর মামলার আসামী সাহাবুদ্দিন আকন গত বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পন করে।

পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই তারিকুল ইসলাম আসামী সাহাবুদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

শনিবার বিকালে সাহাবুদ্দিন নিজেকে হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ততার বিষয় গোয়েন্দা পুলিশের কাছে স্বীকার করে এবং লাশ গুম করার কথাও তিনি স্বীকার করেছে।
সাহাবুদ্দিনের দেয়া তথ্য মোতাবেক পুলিশ সন্ধ্যা ৮টার দিকে সাহাবুদ্দিনের বাড়ির সেফটিক ট্যাংকি থেকে মুর্শিদার লাশ উদ্ধার করে।

নিহতের মামা টিপু সুলতান বলেন, আমার ভাগ্নিকে গত বছরের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে নিয়ে যায়। এরপর দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকায় পর আমরা থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ অসহযোগিতা করে। পরে একপর্যায় মামলা হলেও পুলিশ আসামী গ্রেফতার করেনি। আসামী আদালতে আত্মসমর্পন করে। এরপর আসামীর দেয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক আসামীর বাড়ির সেফটিক ট্যাংকি থেকে মুর্শিদার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান মিয়া জানান, সাহাবুদ্দিনের দেয়া তথ্য মোতাবেক আসামীর বাড়ির সেফটিক ট্যাংকি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।