পঞ্চগড়ে প্রথমে বিয়ে পরে ডিভোর্স, অতঃপর হাফেজ স্বামীর নাটকীয়তায় স্ত্রীর অনশন

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নে প্রথমে বিবাহের ঘোষণাপত্র পাঁচ দিনের মাথায় ডিভোর্স অতঃপর স্বামীর নাটকীয়তায় স্ত্রী অনশন পালন করেছে।

সোমবার (৭ নভেম্বর) উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের আমজুয়ানী গ্রামের বসির উদ্দিনের ছেলে বজলুর রহমানের পুরানা বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত সোমবার (৩১ অক্টোবর) দিবাগত গভীর রাতে হাফেজ বজলুর রশিদ ওই ইউনিয়মের খল্টাপাড়া গ্রামে প্রেমিকার বাড়িতে যায়। প্রেমিকার বাবা হাফেজ বজলুর রশিদকে হাতেনাতে ধরে ফেললে পরের দিন (১ নভেম্বর) নোটারী পাবলিক পঞ্চগড়ে একখানা বিবাহের ঘোষনাপত্র করা হয়। এতে ছোট ভাইয়ের সম্মান রক্ষার্থে বড় ভাই বেলাল বিবাহের ঘোষণাপত্রের সমস্ত দায়িত্ব পালন করেন।

এরপর রোববার (৬ নভেম্বর) হাফেজ বজলুর রশিদ তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছেন জানতে পারেন মেয়ের বাবা। বজলুরের স্ত্রী তার বাবার কাছ থেকে এই সংবাদ জানতে পারলে বজলুরের পরিবার তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে বজলুরের স্ত্রী ডিভোর্সের প্রতিবাদে বাড়ির ভিতরে ঘরের সামনে অনশন পালন করতে থাকেন।

বজলুরের মা প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করলে পরে স্বীকার করেন। এদিকে বজলুরের বড় ভাই বেলাল জানান, তারা বজলুরের স্ত্রী (প্রেমিকাকে) ডিভোর্স দিয়েছেন। ঘটনার দিন মেয়ের বাবা জোর পূর্বক বজলুরকে বিবাহ করান।
অপরদিকে বজলুরের স্ত্রী বলেন, বজলুরের সাথে তার এক বছর ধরে প্রেম কাহিনী হয়ে আসছিলো। ঘটনার দিন বজলুর গভীর রাতে তার রুমে যায়। তিনি আরোও বলেন, সে তার স্বামীর ঘরসংসার করবেন।

মেয়ের বাবা আমিরুল ইসলাম বলেন, ছোট ভাইয়ের সম্মান রক্ষার্থে বেলাল তার ভাইয়ের সাথে আমার মেয়েকে বিয়ের মাধ্যমে মেনে নিয়ে এখন নাটকীয়তা শুরু করছেন। তিনি আরও বলেন, মেয়ের সুখের জন্য ছেলেকে ২ লাখ দিতে চেয়েছেন।

এবিষয়ে ইউপি সদস্য ফেরদৌস ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে দুপুর বেলা মুঠোফোনে ফোন করলে তাকে জানানো হয়নি এবং তিনি ডিসি অফিসে মিটিং এ আছেন জানিয়েছেন।